মুভমেন্ট পাস নিয়ে রাজশাহী থেকে ঢাকা এলেন হেরোইন নিয়ে

রাজশাহী থেকে একটি প্রাইভেটকারে চেপে ঢাকায় এসেছিলেন সৌমিক আহম্মেদ সিদ্দিকী (৪২)। সেজন্য তিনি পুলিশের কাছ থেকে মুভমেন্ট পাস সংগ্রহ করেছিলেন। মুভমেন্ট পাস নিতে সৌমিক পুলিশকে জানিয়েছিলেন, তিনি মাস্ক ও স্যানিটাইজার আনতে করতে ঢাকায় যাবেন।
গতকাল বুধবার সৌমিক আহম্মেদ সিদ্দিকী রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। পথে যত স্থানে পুলিশ তাঁকে আটকেছে, ততবারই তিনি মাস্ক আর স্যানিটাইজার পরিবহণের কথা বলেছেন। কিন্তু র্যাবের কাছে তথ্য ছিল, সৌমিক রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি স্থানে হেরোইন বিক্রির জন্য যাচ্ছেন।
এমন তথ্যের পর মোহাম্মদপুর থানার টাউন হল বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিন (র্যাব-২)। গাড়ি তল্লাশি করে ৩২০ গ্রাম হেরোইনসহ সৌমিক আহম্মেদ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করে।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন র্যাব-২-এর অপারেশন অফিসার (এএসপি) আব্দুল্লাহ আল মামুন।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘সৌমিক আহম্মেদ সিদ্দিকী মূলত মুভমেন্ট পাস সংগ্রহ করে রাজশাহী থেকে হেরোইন নিয়ে ঢাকায় এসেছেন। এর মধ্যে যত স্থানে তাকে পুলিশ দাঁড় করিয়েছে, সব স্থানেই পুলিশ পাসের দোহাই দিয়েছে। সব স্থানেই মাস্ক আর স্যানিটাইজার সাপ্লাইয়ের কথা বলেছে। কারণ, সে জানে করোনাকালে এই দুই জিনিসের কথা বললে পুলিশ ছেড়ে দিবে। অথচ, সে কিন্তু মূলত মাদক ব্যবসায়ী। তার কাছে পাওয়া ৩২০ গ্রাম হেরোইনের দাম আনুমানিক ৩২ লাখ টাকা বলে আমরা জেনেছি।’
অপারেশন অফিসার আরও বলেন, ‘শুধু বলেছে এমন নয়, পুলিশ যদি কোনোভাবে গাড়ি চেক করে, সেজন্য গাড়িতে কিছু মাস্ক আর স্যানিটাইজারও রেখেছিল। আসলে এসব কিছু না। সে নিয়মিত মাদক সাপ্লাই দেয় ঢাকার ব্যবসায়ীদের কাছে। এরা মূলত একটি মাদকচক্র। এই চক্রে আর কারা কারা জড়িত, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে র্যাব। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। তাকে থানায় হস্তান্তরও করা হয়েছে।’