হাসপাতাল চত্বর থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার রাজশাহী নগরীতে এক রেলকর্মচারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর বেলদারপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এলাকায় সোহেল রানা নামের ওই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এ সময় ফারুক হোসেন নামে একজন আহত হয়েছেন। তাকে পুলিশ হেফাজতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলদারপাড়া এলাকায় বাংলা মদ ব্যবসায়ী টগরের বাড়িতে মদ কেনা নিয়ে সোহেল রানা ও ফারুক হোসেনের মধ্যে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে দ্বন্দ্ব হয়। এ সময় তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে টগরের বাড়ি থেকে বের হয়ে ফারুক সোহেলকে কুপিয়ে জখম করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। ঘটনার সময় ধস্তাধস্তিতে রাস্তার উপর পড়ে গিয়ে ফারুকও আহত হন। এ সময় দুজনই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। পরে স্থানীয়রা দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেলকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সোহেল রানা নগরীর ১৯ নং ওয়ার্ডের শিরোইল কলোনি এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে। তিনি পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে ওয়েম্যান পদে চাকরি করতেন।

বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, কীভাবে সোহেল নিহত ও ফারুক আহত হয়েছেন তা, এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, ফারুক সোহেলকে ছুরিকাঘাত করেছেন। কিন্তু ফারুক বলছেন তারা গাড়ির ধাক্কায় আহত হয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এর আগে গত রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বর থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী সানিকে তুলে নিয়ে গিয়ে নগরীর হেতেম খাঁ সবজিপাড়া এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত সানি রাজশাহী পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম পাখির ছোট ছেলে। তার বাড়ি নগরীর বোয়ালিয়া থানার দড়িখরবোনা রেলগেট এলাকায়। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।