রাষ্ট্রের মূল চেতনায় আঘাতকারীরা এখনও সক্রিয় : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘রাষ্ট্রের চেতনার বেদিমূলে আঘাতকারী গোষ্ঠি এখনও সক্রিয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে তারা মাঝেমধ্যেই ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা করে। এদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর টিকাটুলিতে শ্রী রামকৃষ্ণের ১৮৮তম জন্মতিথি ও রামকৃষ্ণ মিশনের ১২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সব সব ধর্মের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবার মিলিত স্রোতে আমাদের রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে সেই সমতার চেতনার বেদিমূলে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। রাষ্ট্র সৃষ্টির মূল চেতনা থেকে রাষ্ট্রকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’
‘সেই ঘটনার ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে রাষ্ট্রকে আবার স্বাধীনতার মূল চেতনায় ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করেন। সেই কাজ এখনও চলমান। কারণ, রাষ্ট্রের চেতনার বেদিমূলে আঘাতকারী গোষ্ঠি এখনও সক্রিয়’, যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের প্রথম পরিচয়—আমরা বাঙালি, তারপর আমরা কে কোন ধর্মের। একটি গোষ্ঠি এটা মানে না এবং তারা বাঙালি, না কি বাংলাদেশি সেটা নিয়েও দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগে। এরাই ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চায়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার রামকৃষ্ণ মিশনের জন্য অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন, নতুন জায়গা দিয়েছেন, মিশন স্কুলটি সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় সব ধর্মের পাশে আছে জানিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘যারা ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা চালায়, তাদের হাতে দেশ পরিচালনার ভার গেলে দৃশ্যপট বদলে যাবে—সেটি মনে রাখার অনুরোধ জানাই।’
হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা এই মাটির, এই দেশের সন্তান। এই মাটি আপনাদের পূর্ব-পুরুষের। আপনাদের অধিকার রক্ষায় আওয়ামী লীগ সরকার যেমন পাশে আছে, আপনাদের নিজেদেরও সেই অধিকার রক্ষায় সোচ্চার থাকতে হবে, প্রয়োজনে অপশক্তির বিরূদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ, স্বামী দেবাধ্যানন্দ ও ভক্তরা।