শিক্ষকের ভর্ৎসনার শিকার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা!
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষকের ভর্ৎসনার শিকার হয়ে ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শামিম সিদ্দিকী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি অতিরিক্ত ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে এই প্রচেষ্টা চালান।
পরে আজ বিকেলে শিক্ষার্থী শামিম সিদ্দিকীর সহপাঠীরা তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। ওই শিক্ষার্থী এখন সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে এ ঘটনায় সন্ধ্যায় ওই সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ মেহেদী হাসানের বহিষ্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করে। তাকে বহিষ্কারের দাবিতে ক্যাম্পাসে টায়ারে জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন এবং রাতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। রাত ১০টায় অবরোধ তুলে নেন তারা।
এর আগে বিকেল ৪টায় নিজের ফেসবুকে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাছে আমার জন্মের বৈধতা প্রমাণ করতে হলো’ স্ট্যাটাস দিয়ে লাইভ আত্মহননের ঘোষণা দিয়েছিলেন ওই শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, আজ বিকেলে ওই শিক্ষার্থী ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষকের রুমে গিয়েছিলেন অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে। এ সময় তার জন্ম-পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শিক্ষক। এর পরই ওই শিক্ষার্থী আত্মহননের চেষ্টা করেন।
এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়ী শিক্ষক ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ মেহেদী হাসানের বহিষ্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত রয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক ড. শেখ মেহেদী হাসান বলেন, এ রকম ঘটনা ঘটেনি। আমি এই মুহূর্তে কোনো বক্তব্য দিব না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর দে বর্তমানে দেশে নেই।
এ ঘটনা বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হুমায়ুন কবির বলেন, ওই শিক্ষার্থী এখন শঙ্কামুক্ত। ক্যাম্পাস পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তিনি জানান, এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন আহমেদুল বারীকে সভাপতি, প্রক্টর উজ্জ্বল কুমার প্রধানকে সদস্য সচিব ও ছাত্র উপদেষ্টা ড. তপন কুমার সরকারকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।