সমুদ্রে নিম্নচাপ : উপকূলীয় এলাকায় অবিরাম বৃষ্টি
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/10/23/monlaa_0.jpg)
পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। এর প্রভাবে মোংলা সমুদ্রবন্দরসহ সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। রোববার ভোর থেকে থেমে থেমে কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কোথাও মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিপাতও বাড়তে শুরু করেছে।
নিম্নচাপের কারণে আজ রোববার সকালে মোংলা বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এর ফলে রোববার ভোর থেকে থেমে থেমে কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কোথাও মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বেলা বাড়ার পাশাপাশি বৃষ্টিপাতও বাড়তে শুরু করেছে। এতে কয়েকদিনের প্রচণ্ড তাপদাহ কিছুটা কমলেও এখন ভ্যাপসা গরম পড়ছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় চারদিকে শীতের কুশায়াও পরিলক্ষিত হচ্ছে।
মোংলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ অমরেশ চন্দ্র ঢালী বলেন, নিম্নচাপের কারণে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। নিম্নচাপটি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সংকেত আরও বাড়লে করণীয় সম্পর্কে সমুদ্রবন্দরসহ উপকূলবাসীকে সতর্ক করা হবে। এটি বর্তমানে মোংলা বন্দর থেকে ৭৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব (বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ) কালাচাঁদ সিংহ বলেন, আবহাওয়া আমরাও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। এখন বন্দরের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। সিগনাল আরও বাড়লে প্রয়োজনীয় সতর্কাবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিন নম্বর সংকেত পর্যন্ত বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় ভীতি কাজ করছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে। পশুর নদীর পাড়ের সিগনাল টাওয়ার এলাকার মো. খালেক, মো. রফিক বলেন, শুনেছি সিডরের মতো বড় ঝড় আসছে। ভয় লাগছে। আমাদের তো কাঁচা ঝুপড়ি ঘর। যাওয়ারও কোনো জায়গা নেই।
রোববার সকালে বন্দরের হাড়বাড়ীয়া ৯ নম্বরে থাকা বিদেশি জাহাজে চাকরিতে যাওয়া ওয়াচম্যান আপন, তাহের, বাবুল ও ডাবলু বলেন, ঝড় আসছে, তারপরও কি করবো, পেটের তাগিদে জীবনবাজি রেখে জাহাজে যেতে হচ্ছে পরিবার ফেলে রেখে। কি হবে তা জানি না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, সম্ভাব্য সাইক্লোন সিত্রাং মোকাবিলা আগে থেকেই প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। ১০৩টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত ও সিপিবিসহ বিভিন্ন সংগঠনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।