বাঁশখালীতে নিহত আলীর পরিবারের মামলা নেওয়ার নির্দেশ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সংঘর্ষে নিহত মোহাম্মদ আলীর পরিবারের মামলা গ্রহণের জন্য বাঁশখালী থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার চট্টগ্রামের বিচারিক হাকিমের আদালত ৫-এর বিচারক শিবলু কুমার দে এ আদেশ দেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নে কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালে ওই দিনই মারা যান মোহাম্মদ আলী। নিহত আলী গণ্ডামারা এলাকার বাসিন্দা।
ওই ঘটনায় গত ৩ ফেব্রুয়ারি বাঁশখালী থানায় মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা দেড় থেকে ২০০ মানুষকে আসামি করা হয়।
এদিকে একই দিন সংঘর্ষে নিহত মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী রুমি আক্তার ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন। এতে ১ নম্বরে আছে গণ্ডামারা বসতভিটা রক্ষা কমিটির সমন্বয়কারী লেয়াকত আলীর নাম।
মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী রুমি আক্তারের আইনজীবী আজিজুল হক জানান, ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা করতে যান রুমি আক্তার। কিন্তু বাঁশখালী থানা মামলাটি গ্রহণ না করায় তিনি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।
আজিজুল হক বলেন, ‘বাঁশখালী থানা মামলা গ্রহণ না করায় এ ঘটনার ভবিষ্যৎ নিয়ে আমাদের উদ্বেগ ছিল। আর মামলা ছাড়া ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া সহজ ।’
রুমি আক্তার জানান, নিহত মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী হিসেবে প্রকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করতে ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এসেছেন।
জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ গণ্ডামারায় এক সুধী সমাবেশের আয়োজন করে। ওই সুধী সমাবেশে কয়েক হাজার লোক নিয়ে হাজির হন প্রকল্পের বিরোধিতাকারী গণ্ডামারা বসতভিটা রক্ষা কমিটির সমন্বয়কারী লেয়াকত আলী। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল মোস্তফা সংগ্রামের নেতৃত্বে লোকজন লেয়াকত আলীর মিছিল লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এর পরই উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।