প্রবাসীকে হত্যার পর খণ্ড-বিখণ্ড, স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার ৪

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় সৌদি আরবপ্রবাসী আবুল হাসেম হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁর স্ত্রীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া চারজন হলেন হাসেমের স্ত্রী আছমা আকতার, মেয়ে মুক্তা, শ্যালক সাইফুল ইসলাম ও আছমার পরকীয়া প্রেমিক মাহমুদুল ইসলাম।
আজ সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশের সভাকক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার জানান, সৌদি আরবপ্রবাসী আবুল হাসেম স্ত্রীর পরকীয়ার খবর শুনে ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে দেশে আসেন। দেশে এসে জানতে পারেন তাঁর স্ত্রী একই গ্রামের মাহমুদুল ইসলামের সঙ্গে পরকীয়া করেন। হাসেম এ ব্যাপারে স্ত্রী আছমা আকতারের কাছে জানতে চান এবং পাঠানো টাকার হিসাব চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আছমা। ১৪ নভেম্বর তিনি, মেয়ে মুক্তা, ভাই সাইফুল ইসলাম ও মাহমুদুলকে নিয়ে নভেম্বর মাসে হাসেমকে হত্যা করেন। হত্যার আগে তাঁরা রাতে হাসেমের খাবারের সঙ্গে অচেতন করার ওষুধ দেন। হত্যার পর মৃতদেহের শরীর থেকে থেকে মাথা, দুই হাত, দুই পা বিচ্ছিন্ন করেন এবং পরে খণ্ড-বিখণ্ড মৃতদেহটি রাস্তার পাশে মৃত মুরগির বর্জ্যের কুয়ায় ফেলে দেন। পরে স্লাব দিয়ে কুয়ার মুখ বন্ধ করে দেন। এরপর আছমা তাঁর স্বামী অপহরণের অভিযোগ করে ভালুকা থানায় একটি অভিযোগ করেন।
সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় সন্দেহ হলে নিহত হাসেমের ভাই আবুল হান্নান ১৮ নভেম্বর একটি মামলা করেন। পরে পুলিশ হাসেমের স্ত্রী ও মেয়েকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। তাঁদের তথ্যমতে মাহমুদুল ইসলামকে এবং গতকাল হাসেমের শ্যালক সাইফুল ইসলামকে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল সাইফুলের দেখানো স্থান থেকে হাসেমের মাথার খুলি, বাহুসহ হাতের দুটি হাড় ও হাঁটুর নিচে পায়ের দুটি হাড় উদ্ধার করে পুলিশ।