ঢাকায় দলিল হস্তান্তর, উল্লাস ছিটে
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/06/07/photo-1433616470.jpg)
ঢাকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে ভারত স্থলসীমান্ত চুক্তির অনুসমর্থনের দলিল হস্তান্তর করার পরপরই ‘বন্দিত্বের’ হাত থেকে মুক্তি পাওয়া ছিটমহলবাসী উল্লাসে মেতে ওঠেন। লাল-সবুজের পতাকা উড়তে দেখা যায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বাড়িগুলোতে। আজ শনিবার স্লোগানে মুখরিত ছিল ছিটমহলগুলো।
এদিন বিকেলেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক ও ভারতের পররাষ্ট্রসচিব সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর নিজেদের মধ্যে দলিল হস্তান্তর করেন। এর মধ্য দিয়ে ৬৮ বছর ধরে ‘বন্দিজীবনে’ থাকা প্রায় অর্ধলাখ নাগরিকের জীবনের ‘মুক্তির’ প্রক্রিয়া আরো ত্বরান্বিত হলো।
দলিল হস্তান্তরের খবরে কুড়িগ্রামের অভ্যন্তরে ভারতের সবচেয়ে বড় দাসিয়ারছড়া ছিটমহলের নারী-পুরুষ ও শিশুরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে কালিরহাট বাজারে এসে আনন্দ-উল্লাস করেন। কুড়িগ্রামের অভ্যন্তরে ১২টি ছিটমহলের বাড়িতে লাল-সবুজের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
দাসিয়ারছড়া ছিটমহলের সভাপতি আলতাব হোসেন বলেন, ‘ছিটমহলের দলিল হস্তান্তর হওয়ায় আজ আমাদের আনন্দের শেষ নেই। আমরা ছিটমহলবাসী ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। ছিটের প্রতিটি ঘরে ঘরে ঈদের আনন্দ বিরাজ করছে। আমরা আনন্দ মিছিল করছি, মিষ্টি বিতরণ করছি।’
বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি বাংলাদেশ অংশের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আজ ছিটমহল বিনিময়ের দলিল হস্তান্তর হওয়ায় আমরা ছিটবাসী বাঁধভাঙা আনন্দ প্রকাশ করছি। আমরা এখন থেকে বাংলাদেশি। আমি নরেন্দ্র মোদি, শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাই। সে সঙ্গে ভারত সরকারের কাছে আমার আবেদন, বাংলাদেশ সফর শেষে যাওয়ার সময় যেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১১১টি ছিটমহলবাসীর জন্য একটি বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করে যান, যাতে করে আমরা ৬৮ বছরের দুঃখ-দুর্দশা ঘোচাতে পারি।