দোকান উচ্ছেদ নিয়ে সংঘর্ষ, গুলি চালাল পুলিশ

ভোলার মনপুরা উপজেলায় রাস্তার ওপর ফলের দোকান সরানো ও মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশের শটগানের গুলিতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন।
সংঘর্ষে পুলিশ-সাংবাদিকসহ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার হাজিরহাট বাজারে ওই সংঘর্ষ হয়। এটি প্রায় দুই ঘণ্টা স্থায়ী হয়।
পরে স্থানীয় লোকজনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আহত ব্যক্তিদের মনপুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশের শটগানের গুলিতে আহত কয়েকজনের নাম গেছে। তাঁরা হলেন দৈনিক ভোরের পাতার স্থানীয় প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম মামুন, ব্যবসায়ী শোয়েব, ইব্রাহীম, আবু তাহের, শরিফ, নূর উদ্দিন, তরিকুল ইসলাম, আরিফ, হারুন, কবির, নাহিদ, রাকিব, হোসেন, লিটন ফরাজী, মোসলেহ উদ্দিন, জামাল নুরুউদ্দিন, নূর ইসলাম, কুটি মাঝি, আবদুর রহমান।
অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের ছোড়া ইট-পাটকেলে আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন খান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) প্রদীপ, পুলিশ কনস্টেবল জুনায়েদ, আরিফ, জসিম, আবদুল হালিম ও নাঈম।
কয়েকজন ব্যবসায়ীর অভিযোগ, আজ সকালে হাজিরহাট বাজারের ফলের ব্যবসায়ী হারুন, আবদুর রহমান ও হাসানের দোকান উচ্ছেদ করেন মনপুরা থানার ওসি শাহীন খান। এ সময় ব্যবসায়ীদের মারধর করেন তিনি। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাৎক্ষণিক দোকানপাট বন্ধ করে পুলিশের বিরুদ্ধে মিছিল বের করে। একপর্যায়ে পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যবসায়ীদের ওপর শটগানের গুলি চালায়। জবাবে ব্যবসায়ীরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছোড়ে।
বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন জানান, বিনা নোটিশে পুলিশ তিন ব্যবসায়ীর ফলের দোকান উচ্ছেদ করার সময় মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ রেখে মিছিল করেন। পরে পুলিশ বিনা উসকানিতে ব্যবসায়ীদের ওপর বেশ কয়েকটি গুলি করে। এতে অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ী আহত হন।
মনপুরা থানার ওসি শাহীন খান জানান, রাস্তার ওপর ফলের দোকান উচ্ছেদ করতে যান তিনি। পরে ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শটগানের গুলি করা হয়।