‘ডাক্তার উঠতে চায় না, নার্স আসতে চায় না’

মামুন তাঁর দেড় বছরের শিশুসন্তানের জ্বর নিয়ে গতকাল সোমবার দুপুরে হাসপাতালে আসেন। জ্বর বেড়ে যাওয়ায় রাত ১২টার দিকে তিনি ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্টার্নি চিকিৎসকের কাছে ছুটে যান। কিন্তু বারবার ছুটে গেলেও তিনি চিকিৎসা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে তাঁর সন্তান মারা যায়।
আরেক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত রাতে অসুস্থ বাচ্চাকে নিয়ে হাসপাতালে এলে গেট খুলতে চাইছিল না সংশ্লিষ্টরা। পরে গেট খুললেও চিকিৎসক ঘুমাচ্ছেন বলে জানানো হয়। চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি সকালের আগে কোনো চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানান।
একজন অভিভাবক বলেন, ‘আমরা ঠিকমতো সেবা পাইনি। আমরা ওদের (চিকিৎসকরা) কাছে গেলে উঠতে চায় না, নার্সরা আসতে চায় না। স্টুডেন্ট যারা ডিপ্লোমা করছে, তাদের পাঠায়। আমাদের সঠিক পরামর্শ দেয় না। আমরা ওষুধ নিয়ে এলে টেবিলের কোনায় ফেলে রাখে।’
আরেকজন বলেন, ‘বড় ডাক্তারের কাছে গেলে বলেন, নার্সের কাছে যান; সিস্টারের কাছে গেলে বলেন, বড় ডাক্তার না হলে চিকিৎসা হবে না।’ এ ছাড়া শিশু ওয়ার্ডের সামনে জড়ো হওয়া বেশ কয়েকজন অভিভাবক চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ করেন।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঁচ নবজাতকসহ ১০টি শিশু মারা গেছে। গতকাল সোমবার রাত ৯টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টা পর্যন্ত ১০ ঘণ্টায় এসব শিশুর মৃত্যু হয়েছে।