কথিত পীর ও মুরিদ হত্যার রহস্য উদঘাটন হবে : অতিরিক্ত ডিআইজি
দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলায় কথিত পীর ও মুরিদ হত্যার ঘটনাস্থল কাদরিয়া মোহাম্মদি দরবার শরিফ পরিদর্শন করেছেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মনজুরুল কবীরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় দিনাজপুরের পুলিশ সুপার হামিদুল আলম, কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিসিটিসি) ইউনিটের সদস্যসহ পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত ডিআইজিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল গিয়ে আলামত সংগ্রহ করেন।
কথিত পীর ফরহাদ হোসেন চৌধুরী ও মুরিদ রুপালি বেগমের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিকেলে দিনাজপুর গোর-এ শহীদ ময়দানে প্রথম জানাজা শেষে নিজ গ্রাম দৌলায় বাদ আসরের পর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে দরবার শরিফের পাশে ফরহাদ হোসেন চৌধুরীকে দাফন করা হয়।
অতিরিক্ত ডিআইজি মনজুরুল কবীর সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ পুলিশ এর আগে দক্ষতার সঙ্গে বিভিন্ন ঘটনার রহস্য উৎঘাটন করেছে। একইভাবে এই জোড়া খুনের ঘটনা উদঘাটন করা হবে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দুর্বৃত্তরা দরবার শরিফে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কথিত পীর ফরহাদ হোসেন চৌধুরী ও মুরিদ রুপালি বেগমকে গলা কেটে ও গুলি করে হত্যা করে।
ফরহাদ হোসেন চৌধুরীর বাড়ি দিনাজপুর শহরের পাহাড়পুরে। তাঁর স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তিনি একসময় দিনাজপুর পৌর বিএনপির সভাপতি ছিলেন।