কুসিক নির্বাচন : প্রচার ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে ব্যস্ত প্রার্থীরা
জমে উঠেছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) নির্বাচন। প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে শহর। মেয়র পদপ্রার্থীদের পাশাপাশি কাউন্সিলর প্রার্থীরাও ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন। প্রচার ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রার্থীরা এখন পুরোদমে ব্যস্ত।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে জমে উঠেছে মেয়র পদে নৌকা ও ধানের শীষের লড়াই। বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্বু আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমার বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন সীমা।
আজ শুক্রবার সকালে মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু বিএনপির নেতাদের নিয়ে ২৫ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের চৌয়ারা, মাটিয়ারা, তাঁতীপাড়া ও সোয়াগাজী এলাকায় প্রচার করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, শওকত মাহমুদ, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে কুমিল্লা হাউজিং এস্টেট, কাঁটাবিল ও তেলীকোনা এলাকায় প্রচার করেন।
প্রচারের সময় প্রার্থীরা ভোটারদের নাগরিক আধুনিক সুবিধাসহ নগর উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রচারের এক ফাঁকে বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতাদের এনে ২৭টি ওয়ার্ডের জন্য নির্বাচনী কমিটি করেছেন। এটা তো আইনের বাইরে।’
এ সময় পাশে থাকা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিরপেক্ষতার কথা কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে প্রমাণিত হবে।’
প্রচার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা। ভোটারদের হাতে তুলে দিচ্ছেন প্রতিশ্রুতির প্রচারপত্র। এরই এক ফাঁকে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রচারে আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে তো নির্বাচন কমিশনই ব্যবস্থা নিত।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা নিজেরাই আইনের লোক। আমরা আইন মেনে চলছি। চলবও। আর যদি আচরণবিধি লঙ্ঘন হয় তবে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেবে।’
আগামী ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় নির্বাচন। সদ্য বিদায়ী মেয়র মনিরুল হক দ্বিতীয়বারের মতো সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। অন্যদিকে সাবেক কাউন্সিলর আঞ্জুম সুলতানা সীমা এবারই প্রথম মেয়র পদে নির্বাচন করছেন।