আগামী বছর ‘ট্যুরিজম বর্ষ’
২০১৬ সালে ‘ট্যুরিজম বর্ষ’ পালিত হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছর বিপুলসংখ্যক বিদেশি পর্যটক বাংলাদেশে আসবেন। বিদেশি পর্যটকদের উন্নত সেবা দেওয়ার জন্য ট্যুর অপারেটরদের দক্ষতা বাড়াতে সরকার তরুণ ট্যুর অপারেটরদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের (বিটিবি) মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আখতারুজ্জামান খান কবির বার্তা সংস্থা বাসসকে বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা ট্যুরিজম বছরে ১০ লাখ বিদেশি পর্যটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছি।’
প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ট্যুর অপারেটরদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণের কথা উল্লেখ করে বিটিবির মুখ্য নির্বাহী বলেন, ‘আমাদের পর্যটকশিল্পের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও যথাযথ মার্কেটিং কৌশলের অভাবে আমরা আমাদের পর্যটন সুবিধা কাজে লাগাতে পারছি না। আন্তর্জাতিক ট্যুরিজমের উন্নয়নের পাশাপাশি আমরা বিদেশি পর্যটকদের উন্নত সেবা প্রদানে আমাদের সক্ষমতা নিশ্চিত করছি। গত সপ্তাহে বিটিবি ট্যুরিজম বর্ষ সামনে রেখে একদল তরুণ ট্যুর অপারেটরকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এই প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।’
আখতারুজ্জামান খান কবির বলেন, “‘ট্যুরিজম বর্ষের’ অনুষ্ঠানকে আকর্ষণীয় করে তুলতে আমরা ট্যুরিজম শিল্পের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে পদক্ষেপ নিয়েছি।”
বিটিবি সূত্র জানায়, ‘ট্যুরিজম বর্ষ’ সফল করতে ‘ভিজিট বাংলাদেশ ক্যাম্পেইন’ শিরোনামে একটি গাইডলাইন প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই প্রচারকাজ চার ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো—প্রস্তুতি, প্রি-ইয়ার প্রমোশন, সিলেকশন ও ইভল্যুয়েশন। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিটিবি এরই মধ্যে ‘ট্যুরিজম বর্ষের’ একটি খসড়া ইভেন্ট ক্যালেন্ডার তৈরি করেছে।
বাংলাদেশে ঐতিহাসিক বৌদ্ধ স্থানগুলো পরিদর্শনের জন্য বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আগামী অক্টোবরে রাজধানীতে ‘বুড্ডিস্ট ট্যুরিজম’ সার্কিটের ওপর একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
বৌদ্ধ অধ্যুষিত ১৩টি দেশের মন্ত্রী এবং ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউটিও) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সম্মেলনে যোগ দেবেন। বিটিবি ধারণা করছে, এতে ‘ট্যুরিজম বর্ষের’ সময়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটক বাংলাদেশে আসবেন।
পর্যটক বর্ষ উদযাপনে প্রস্তাবিত বাজেটে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।