চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির ছোট ভাইকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ওই ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেয় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি।

আজ শুক্রবার বিকেলে পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানিয়ে বলা হয়, ছিনিয়ে নেওয়া লোকজনের হামলায় তিন উপপরিদর্শক (এসআই) আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন আইয়ুব উদ্দিন, এরশাদ উল্লাহ ও মফিজ উদ্দিন।

এ ঘটনায় আজ বিকেলে বোয়ালখালী থানায় দুটি ও বায়েজিদ থানায় একটি মামলা করেছে পুলিশ।

ছিনিয়ে নেওয়া আসামি সাইফুদ্দিন বাপ্পী বোয়ায়ালখালী সারোয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বেলাল হোসেনের ছোট ভাই।    

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) সহকারী কমিশনার (এসি) এম এম মোবাশ্বের বলেন, গতকাল রাতে সিএমপির বিশেষ অভিযানে নগরীর আমিন জুটমিল এলাকা থেকে দুটি বিদেশি পিস্তলসহ সাইফুদ্দিন বাপ্পীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রামের বাড়িতে আরো অস্ত্র রয়েছে বলে স্বীকার করেন বাপ্পী। পরে রাতেই সারোয়াতলী এলাকায় বাপ্পীর বড় ভাইয়ের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ।

এম এম মোবাশ্বের বলেন, বাপ্পীর বড় ভাইয়ের বাড়িতে অভিযানের সময় চারটি আগ্নেয়াস্ত্র, চারটি ধামা, ১৬টি ধারালো অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। ওই অভিযান শেষে শহরে ফেরার পথে বাপ্পীর বাড়ির পাশে অর্ধশতাধিক লোক পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে নেতৃত্ব দেন বাপ্পীর অপর ভাই সালাহ উদ্দিন রুমি। হামলা চালিয়ে তাঁরা বাপ্পীকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন।

জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বেলাল হোসেন বলেন, বাপ্পীকে আমিন জুটমিল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তিনি বাড়িতেই ছিলেন।

বেলাল আরো বলেন, ‘বাপ্পী থানা কৃষক লীগের সহসভাপতি।  সে নেতৃত্ব থাকুক, তা চায় না দলের একটি অংশ। এ জন্যই ওই অংশটি পুলিশকে টাকা দিয়ে রাতে বাপ্পীকে গুম করার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে পুলিশ পিছু হটেছে।’