চট্টগ্রামের অধিকাংশ খাল ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা দখল করে ভবন গড়ে ওঠায় জলাবদ্ধতা বাড়ছে বলে মনে করছেন নগর বিশেষজ্ঞরা। আর রাজনৈতিক চাপের কারণে এসব ভবন উচ্ছেদ অভিযান সফল হয় না বলেও জানান বক্তারা। একই সমস্যা নিয়ে আগের তিন মেয়রও দায়িত্ব শেষ করেছেন।

আজ শনিবার সকালে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা রোধে নাগরিকের করণীয় শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তাঁরা।

নগরীর টিআইসি মিলনায়তনে এ সেমিনারের আয়োজন করে নাগরিক উদ্যোগ নামের একটি সংগঠন। এতে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. ফয়জুল্লাহ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান পরিকল্পনাবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিকল্পনাবিদ রেজাউল করিম ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান। চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ হায়দার সেমিনারের সঞ্চালন করেন।

সেমিনারে নগর পরিকল্পনাবিদরা বলেন, চট্টগ্রামে প্রায় ১৫০টি ভবন গড়ে উঠেছে খালের ওপর। এসব ভবনগুলো পানির প্রবাহ বিঘ্নিত করছে। খাল দখল করে গড়ে তোলা ভবনগুলো পানির গতিপথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে তা চিহ্নিত করা গেছে। কিন্তু রাজনৈতিক চাপের কারণে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া সিডিএ, সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড সমন্বিতভাবে জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করলে এ সমস্যার সমাধান অনেকাংশে সমাধান হবে।