চট্টগ্রামে মহেশখালের বাঁধ অপসারণ কাজ শুরু

চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত মহেশখালের বাঁধ অপসারণ কাজ শুরু করেছে সিটি করপোরেশন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বন্দর রিপাবলিক ক্লাবের পাশে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বাঁধ অপসারণ শুরু করা হয়।
এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর কয়েক হাজার লোক জড়ো হয়। তাদের উৎফুল্ল থাকতে দেখা যায়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও বন্দর চেয়ারম্যান কমডোর ইকবাল মাহামুদ হাতুড়ি দিয়ে বাঁধ অপসারণের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় সিটি করপোরেশন ও বন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা জলবদ্ধতা নিয়ে কাজ করেছি। চট্টগ্রাম শহরে জলবদ্ধতা একেক জায়গায় একেক কারণে হচ্ছে। যেখানে যে কারণে হচ্ছে ওটার কারণ নির্ণয় করে অপসারণ করার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি এবং সেভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।’
মেয়র বলেন, ‘মহেশখাল এলাকায় যেভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে চাকতাই খাল এলাকা বা অন্য ওয়ার্ডগুলোতে সেভাবে জলাবদ্ধতা হয়নি। আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুফল এটি। আমরা মহেশখালে কাজ শুরু করেছি, এটা ধারাবাহিকভাবে চলবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে যে পরিকল্পনা করেছি, এটা বাস্তবায়ন করা গেলে জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসী মুক্তি পাবে।’
বাঁধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নিমতলার অধিবাসী ব্যাংকার এ এফ এম আরিফ এনটিভি অনলাইনকে জানান, বাঁধের কারণে বর্ষায় নিয়মিত জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছেন তাঁরা। একটু বৃষ্টি হলেই ঘরে পানি উঠে যায়। অপরিকল্পিতভাবে এ বাঁধ নির্মাণ করে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
আগ্রাবাদ এলাকার বাসিন্দা এম এ কাদের বলেন, এ বাঁধ নির্মাণের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। অপরিকল্পিত নগরে সব অপরিকল্পিত উন্নয়ন করে তারা অর্থ আত্মসাতের হোলি খেলায় মেতে উঠেছে।
আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিকসহ কয়েকটি এলাকা জোয়ারের পানি থেকে রক্ষা করতে বন্দর রিপাবলিক ক্লাবের পাশে মহেশখালের ওপর প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে এ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর নৌমন্ত্রী শাজাহান খান মহেশখাল ড্যাম নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। বাঁধ নির্মাণের আগে খালটি দিয়ে হালিশহর, সিডিএ আবাসিক, গোসাইলডাঙ্গা, ছোটপুল এলাকায় জোয়ারের পানি উঠত। বাঁধ দেওয়ার পর এটির গতি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। বৃষ্টি হলে পানি উঠে। আগ্রাবাদসহ বিশাল এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।