সৈয়দ আশরাফকে এলজিআরডি মন্ত্রণালয় থেকে অব্যাহতি!

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয় থেকে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে। তবে তিনি দপ্তরবিহীন মন্ত্রী থাকবেন। আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞাকে এ নির্দেশ দেন। বৈঠকে উপস্থিত সূত্র এ তথ্য জানায়।
তবে এ নিয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় বিকেল থেকে ধোয়াশা তৈরি হয়।
একনেকের বৈঠকে সৈয়দ আশরাফের অনুপস্থিতি প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষুব্ধ করে বলে জানিয়েছেন বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন মন্ত্রী। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন যে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে অব্যাহতির সারসংক্ষেপ তৈরি করার নির্দেশ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখা সারসংক্ষেপ তৈরি করে তা অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠায়। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বহু সাংবাদিক প্রজ্ঞাপনের কপি সংগ্রহ করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দপ্তরে অবস্থান নেন।
তবে শেষ বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের জানালেন, ‘আপাতত আপনাদের দেওয়ার মতো কোনো সংবাদ আমার কাছে নেই। যদি কোনো খবর হয়, সেটা যথাসময়ে আপনারা জানতে পারবেন।’ এই বলে তিনি নিজ কার্যালয় ত্যাগ করেন।
দুপুরের দিকে একাধিক কর্মকর্তা ও মন্ত্রী জানান, এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে। তিনি প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা যোগাযোগ করলে মন্ত্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, 'স্যারকে (প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী) এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবে এখনো এ বিষয়ে কোনো লিখিত প্রজ্ঞাপন বা অর্ডার পাওয়া যায়নি।’
পরে যোগাযোগ করা হলে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি কোনো খবর পাইনি। কেউ আমাকে জানায়নি।’
সচিবালয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা খন্দকার মোশাররফ হোসেন এলজিআরডির দায়িত্ব পেতে দায়িত্ব যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। এই বিষয়টি জানালে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা একটা গুজব। এটা ওবায়দুল কাদের বা অন্য কেউ দায়িত্ব পেতে পারেন।’
তবে আপনি কী দায়িত্ব পাচ্ছেন না- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘দায়িত্ব তো পেতেও পারি। তবে এখনো আমাকে কিছু জানানো হয়নি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি এখন পুরোপুরি প্রধানমন্ত্রীর হাতে।