সিটিসেলের সিইও মেহবুব আদালতে

একটি বেসরকারি ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের মামলায় বেসরকারি মুঠোফোন অপারেটর সিটিসেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহবুব চৌধুরীকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
আজ রোববার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক কর্মকর্তা ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মেহবুব চৌধুরীকে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আদালতে দুদকের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) আবদুস সালাম সাংবাদিকদের জানান, আজ বিকেল ৩টায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম লস্কর সোহেল রানার আদালতে আসামি মেহবুবের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মেহবুব চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এনটিভি অনলাইনকে জানান, এবি (সাবেক আরব বাংলাদেশ) ব্যাংক থেকে ৩৮৩ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় মেহবুব চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিটিসেলের নামে তিনি ওই টাকা আত্মসাৎ করেন বলে জানান দুদক কর্মকর্তারা।
এর আগে দুদকের উপপরিচালক শেখ আবদুস সালাম বাদী হয়ে গত বুধবার বনানী থানায় মেহবুব চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
শেখ আবদুস সালামের নেতৃত্বে একটি দল শনিবার বিমানবন্দর থেকে মেহবুব চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে।
একই মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানকে।
বর্তমানে সিটিসেলের প্রায় ৪৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক সিঙ্গাপুরভিত্তিক সিংটেল এশিয়া প্যাসিফিক। ফারইস্ট টেলিকম ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিক। আর প্যাসিফিক মোটরসের হাতে আছে ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ মালিকানা। ওই প্রতিষ্ঠানটির মালিক এম মোরশেদ খান।
বকেয়া পাওনা পরিশোধ না করায় গত বছরের ২০ অক্টোবর সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ স্থগিত করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। কার্যত ওই দিন থেকে বন্ধ হয়ে আছে সিটিসেল।
১৯৮৯ সালে বিটিআরসির লাইসেন্স পায় প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড, যা সিটিসেল নামে পরিচিত।