বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

বান্দরবানে কয়েক দিন ধরে ভারি বৃষ্টির পর এখন পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সড়কের ওপর থেকে পানি নেমে যাওয়ায় আজ বুধবার লামা-আলীকদমে সড়ক যোগাযোগ অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লামা বাজার এলাকা থেকে বন্যার পানি নেমে গেলেও এখনো নিম্নাঞ্চলের কয়েকশ ঘরবাড়ি পানির নিচে রয়েছে। লামা পৌর এলাকায় চারটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও লামা পৌরসভার পক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারীদের শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও খিচুড়ি সরবরাহ করা হয়েছে।
ভারি বর্ষণের ফলে পাহাড়ধসে লামা উপজেলার পৌরসভা ও রূপসীপাড়ায় ২০টির বেশি কাঁচা ঘরবাড়ি মাটিতে চাপা পড়েছে। আগে থেকে সতর্কতা অবলম্বন করায় পাহাড়ধসের ঘটনায় এবার প্রাণহানির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, বন্যাকবলিতদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে যারা আশ্রয় নিয়েছেন, সবাইকে যেন খিচুড়ি রান্না করে খাওয়াতে। এ ছাড়া তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করার আশ্বাস দেন।
লামা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খিন ওয়ান নু জানান, ভারি বর্ষণে লামা পৌরসভার অধিকাংশ এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। চারটি আশ্রয়কেন্দ্রে অসংখ্য মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। দুর্গতদের জন্য শুকনো খাবার ও খিচুড়ি দেওয়া হচ্ছে।
লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম জানান, অতি বর্ষণে লামা পৌরসভায় প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। মাতামুহুরি নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যার কবল থেকে পৌরবাসীকে রক্ষার জন্য মাতামুহুরী নদীর গতি পরিবর্তন ও ড্রেজিং করার জোর দাবি জানান মেয়র।
এদিকে আলীকদম উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক হয়েছে। বন্যাকবলিত লোকজন ঘরে ফিরতে শুরু করেছে।