৯ শিশু মৃত্যুর দায় স্বাস্থ্যকর্মীদের, শাস্তিমূলক বদলি
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে হাম রোগে ৯ শিশুর মৃত্যুর দায় সরকারের সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মী ও কর্মকর্তাদের বলে স্বীকার করেছেন সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী। এজন্য প্রাথমিকভাবে তিন নারীসহ ছয় স্বাস্থ্যকর্মীকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সিভিল সার্জন।
সীতাকুণ্ডের ত্রিপুরাপল্লীর হাম আক্রান্ত ৯২ শিশুকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছিল বিআইটিআইডি ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এদের মধ্যে সুস্থ হওয়া ২০ শিশুকে আজ ফুল দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এখন থেকে সব ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকাসহ সারা দেশে হামের টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যাতে সীতাকুণ্ড পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না হয়। এরই মধ্যে সীতাকুণ্ডের ৯টি পল্লীতে ১৪টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। তারা টিকা ও পুষ্টি সেবা দিচ্ছে। পাশাপাশি রোগটি ছোঁয়াচে বিধায় সুস্থ শিশুদের সঙ্গে যেন অসুস্থ শিশুরা মিশতে না পারে সে ব্যাপারে অভিভাবকদের সতর্ক করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ৯ শিশুর মৃত্যুর জন্য নিজেরা দায় এড়াতে পারেন না বলে স্বীকার করে এরপর কোনো শিশু বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না বলে জানান সিভিল সার্জন।
সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান জানান,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে ছয়জন মাঠকর্মীকে বদলি করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে তাদের বিরুদ্ধে কাজে অবহেলার প্রমাণ পেয়েছে কমিটি। সীতাকুণ্ডে ত্রিপুরাপাড়ায় নয় শিশুর মৃত্যুর জন্য হাম রোগকে দায়ী করার পর মাঠকর্মীদের বিরুদ্ধে এ প্রথম কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলো।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এস এম নুরুল করিম জানান, ত্রিপুরা পাড়া থেকে আরো চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আক্রান্তদের ধরনও একই প্রকৃতির বলে জানান তিনি।