পদদলিত হয়ে মৃত্যু : পুলিশ হেফাজতে আট আসামি
ময়মনসিংহে জাকাতের কাপড় আনতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ২৭ জনের মৃত্যুর মামলায় ব্যবসায়ী শামীম তালুকদার ও তাঁর ছেলেসহ আট আসামিকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে (রিমান্ড) পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে ময়মনসিংহের ১ নম্বর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আহসান হাবিবের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুশফিকুর রহমান জানান, ১০ কার্যদিবসের মধ্যে রিমান্ড কার্যকর করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন নূরানী জর্দা কারখানার মালিক শামীম তালুকদার (৬৫) ও তাঁর ছেলে হেদায়েত তালুকদার (৩০), কারখানার ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন (৩৫), আরমান হোসেন (৩৫), আলমগীর হোসেন (৩৪), আরশাদুল ইসলাম (৩২), গাড়িচালক পারভেজ (৩৫) ও কর্মচারী আবদুল হামিদ (৩৬)।
এর আগে শনিবার দুপুরে একই আদালতে আসামিদের হাজির করে তাঁদের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন এসআই মুশফিকুর রহমান।
গত ১০ জুলাই শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে ময়মনসিংহের অতুল চক্রবর্তী রোড এলাকায় শামীম তালুকদারের বাসার বাইরে জাকাত নিতে সহস্রাধিক নারী ও শিশু ভিড় করে। গেট খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হুড়োহুড়ি করে ভেতরে প্রবেশ করতে গিয়ে পদদলিত হয়ে প্রাণ হারায় পাঁচ শিশু ও ২২ নারী। এ ঘটনায় কারখানার মালিকসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই রফিকুল ইসলাম ওই আটজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন।
এদিকে, এ ঘটনায় পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজি) নির্দেশে গতকালই ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি শফিকুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মল্লিকা খাতুনকে প্রধান করে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম ফয়জুল হক ও নেজার ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) তৌহিদুল ইসলামকে সদস্য করে আলাদা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উভয় কমিটিকে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।