দুর্নীতি করে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার সুযোগ শেষ

দুর্নীতিকে জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন, এ যুদ্ধে জয়ী হওয়া যায় না। সরকারি কর্মকর্তাদের এই যুদ্ধে শামিল না হতেও পরামর্শ দেন তিনি।
আজ বুধবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘দুর্নীতিমুক্ত সরকারি সেবা’ শীর্ষক সভায় এসব কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, কেউ কেউ নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে ভাবেন, কেউ আবার ধরা পড়লে বলেন—অমুক বলেছেন, তাই আমি করেছি। এসব সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলাসহ কারাগারে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাবেন না। জনগণকে তাদের যেটা শেয়ার, তাদের যেই কাজ দেওয়ার কথা সেটি দেবেন। দিস ইজ দেয়ার রাইট (এটা তাদের অধিকার), অ্যান্ড দিস ইজ আওয়ার ডিউটি (এবং এটা আমাদের দায়িত্ব)। ইফ উই ফেইল, উই এন্ড আপ টু জেইল (যদি আমরা ব্যর্থ হই, তবে আমাদের জীবন কারাগারে শেষ হবে)।’
দুর্নীতি করে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার সুযোগ শেষ উল্লেখ করে ইকবাল মাহমুদ বলেন, এরই মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
বিভাগীয় কমিশনার রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় সরকারের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা দুর্নীতির কারণ, প্রতিকারের উপায়সহ বিরাজমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
এ সময় ব্যাংক কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির বলেন, ‘যারা অবারিত সুযোগ থাকার কারণে এক জীবনে এক পুরুষে উপার্জন করে ১৪ পুরুষের জন্য সেফটি নেট এনশিওর করতে চায়, তারা কিন্তু স্যার সেই বোয়াল শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। তাদের যদি আমরা অ্যাড্রেস করতে না পারি, তাদের যদি আমাদের নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনতে না পারি, তাহলে স্যার আমাদের পক্ষে জাতীয়ভাবে ইনিশিয়েটিভ যে চমৎকার উদ্যোগ আপনারা নিয়েছেন, সেটাকে কতটুকুন আমরা সফল করতে পারব, দ্যাটস আ কোশ্চেন স্যার।’
চট্টগ্রামের কমিশনার অব কাস্টমস এ এফ এম আবদুল্লাহ খান বলেন, ‘একজন কর্মকর্তার কাছে গিয়ে ১০০ জন সিঅ্যান্ডএফ এজেস্ট ঘিরে থাকেন। স্বাভাবিক তখন যিনি আগে করাতে চান তিনি কিছু অনৈতিক সুবিধা প্রস্তাব করেন বা তিনি গ্রহণ করেন, এই বিষয়গুলো স্যার আছে। একজন যদি প্রতিদিন ২০টি অ্যাসেসমেন্ট করতেন, তাহলে হয়তো এ সমস্যা থাকত না। নিচের দিকে কিছু সমস্যা আছে স্যার, আমি অস্বীকার করব না। আমি চেষ্টা করছি এগুলো দূর করবার জন্য।’
সভায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ইকবাল বাহারও বক্তব্য রাখেন।