দেশে খাদ্য সংকট নেই, আগামীতেও থাকবে না : অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, দেশে কোনো ধরনের খাদ্য সংকট নেই। এমনকি আগামীতেও খাদ্য সংকট হবে না। তবে বন্যার কারণে সাময়িক সমস্যা হয়েছে, তা মোকাবিলার সক্ষমতা সরকারের আছে।
আজ বুধবার রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সঙ্গে সোনালী ব্যাংকের কৃষিঋণ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘দেয়ার ইজ নো ফুড ক্রাইসিস অ্যান্ড দেয়ার উইল নট বি এনি ফুড ক্রাইসিস ইন দ্য কামিং ডেজ (এখন কোনো খাদ্য সংকট নেই এবং আগামী দিনেও থাকবে না)। যে ক্রাইসিসটা সামনে এসেছে এই বন্যার কারণে সেটা মোকাবিলা করতে আমরা সক্ষম। এ ব্যাপারে আপনাদের কোনো ধরনের চিন্তা থাকা উচিত নয়।’
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন অভাবে নয়, সাময়িক একটি বিপত্তি হয়েছে, এই বিপত্তি আমরা অতিক্রম করব। তাতে অতিরিক্ত পয়সা লাগতে পারে, সেটাও খরচ করার সামর্থ্য এখন আমাদের আছে।’
চালের দাম বেড়ে যাচ্ছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের বাইরে থেকে চাল আমদানি করতে অনেক ব্যয় হচ্ছে, তবুও প্রয়োজনীয় চাল আমদানি করবে সরকার। বন্যার কারণে সৃষ্ট সাময়িক খাদ্য সংকট কেটে যাবে। কৃষিভিত্তিক নতুন নতুন পণ্য তৈরি করে প্রাণ দিশারীর ভূমিকা পালন করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
উন্নতজাতের গাভী পালন ও দুগ্ধজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাণ ডেইরির চুক্তিবদ্ধ খামারিদের ঋণ দেবে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) উজমা চৌধুরী ও সোনালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম আজ এ-সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী এবং সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব ইউনুসুর রহমান, সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান আশরাফুল মকবুল, প্রাণ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধাসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।