মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে জাতীয় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত একটি সেমিনারে বক্তারা এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা এ সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে বক্তব্য দেন জাতীয় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের পরিচালক ডা. এম এম আখতারুজ্জামান, জেলা সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, ডা. শেখ মো. আবদুস সালাম, ডা. মুশফিকুর রহমান সিদ্দিকী।

বক্তারা বলেন, আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে দেশে ম্যালেরিয়া শূন্য পর্যায়ে নিয়ে আসতে কাজ করছে সরকার। এরই মধ্যেই ম্যালেরিয়া রোগে মৃত্যুর হার কমে এসেছে। তিন পার্বত্য জেলাসহ দেশের ১৩টি জেলার সঙ্গে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর লোকজন এ ক্ষেত্রে মারাত্মক হুমকি হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সেমিনারে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের পরিচালক ডা. এম এম আখতারুজ্জামান জানান, মিয়ানমার একটি ম্যালেরিয়াপ্রবণ এলাকা। রোহিঙ্গারা ম্যালেরিয়া রোগটি বহন করছে। টেকনাফ ও বান্দরবান হয়ে এরা যাতে সারা দেশে ছড়িয়ে যেতে না পারে সে ব্যাপারে সরকারকে আরো বেশি কঠোর হতে হবে।

আখতারুজ্জামান আরো জানান, জাতীয় রোগনিয়ন্ত্রণ সংস্থা এ রোগ নিয়ন্ত্রণে কক্সবাজার সদর ও টেকনাফেও কাজ শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ফলোআপ করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরই মধ্যে রোহিঙ্গাদের কীটনাশকযুক্ত মশারি বিতরণ শুরু করা হয়েছে। ম্যালেরিয়া রোগনির্ণয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে।