চট্টগ্রামের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় কোনো রোহিঙ্গা নাগরিক যেন ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে সে ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আন্তরিক হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।

আজ মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস মিলনায়তনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম বিষয়ক এক কর্মশালায় এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

কর্মশালায় কোনো ব্যক্তির জন্মসনদ ও পরিচয়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের আরো বেশি সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

এ সময় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে যদি দেশপ্রেম থাকে তাহলে অনেক কিছু সম্ভব। তাহলেই রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন করা থেকে বিরত থাকবেন তাঁরা। কারণ রোহিঙ্গা হয়ে যদি বাংলাদেশের জন্মনিবন্ধন পায়, তাহলে সেই পরিচয় ব্যবহার করে তারা বিদেশ যায়। সেখানে গিয়ে তাঁদের নানা অপকর্মের জন্য বাংলাদেশকেই দায়ী করা হয়।

সে কারণে ভাসমান কোনো নাগরিক যেন ভোটার হতে না পারে, সে জন্য জনপ্রতিনিধিদের দেশপ্রেমিক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান মো. আবদুল মান্নান।

এ সময় আনোয়ারা উপজেলার চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম অভিযোগ করে বলেন, শুধু উপজেলায় নয় সিটি করপোরেশন এলাকাতেও অনেক ভাসমান ভোটার নিবন্ধিত হচ্ছেন। কিছু অসাধু জনপ্রতিনিধি এসব কাজে সম্পৃক্ত হচ্ছেন বলেও দাবি তাঁর।

রাঙ্গুনিয়ার রানীরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহবুব আলম বলেন, তাঁর এলাকায় নিবন্ধনের সময় প্রায় ৮০-৯০ জন রোহিঙ্গা নিবন্ধিত হয়ে গেলেও পরে ছবি তোলার সময় তাদের চিহ্নিত করা গেছে। ফলে ভোটার তালিকা থেকে তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।

যারা অন্তত তিন প্রজন্ম ধরে বাংলাদেশে আছে, কেবল তাদেরই নিবন্ধন দেওয়ার নিয়ম করতে আবেদন জানান রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শাহ। তাহলে ভাসমান ভোটাররা আর সুযোগ পাবে না বলেও মনে করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান, জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক দীপক চক্রবর্তী, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাঈনুদ্দিন, বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর ও ইউপি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।