স্ত্রীর লাশ উদ্ধার, নৌ সদস্য পলাতক
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় কবর দেওয়ার সময় শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গৃহবধূর বাবার অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জেরে তাঁর মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের মাজরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোসাম্মৎ শারমিন বেগম (১৯) ওই গ্রামের নৌবাহিনীর সদস্য সজীবুল মোল্যা ওরফে জনির স্ত্রী এবং উপজেলার পোনা গ্রামের মো. শাজাহান হোসেনের মেয়ে।
এ ঘটনায় গৃহবধূর শাশুড়ি পারুল বেগমকে (৫০) পুলিশ আটক করেছে। তবে স্বামীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা পালিয়ে গেছে।
মো. শাজাহান হোসেন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। সন্তান প্রসবের জন্য মেয়েকে নিতে চাইলেও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে নিতে দেয়নি। এ নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল। আজ সকালে সজীবুল মোল্যার উপহার পাওয়া একটি চীনামাটির প্লেট তাঁর স্ত্রীর হাত থেকে পড়ে ভেঙে যায়। এ নিয়ে স্বামী, শাশুড়ি ও পরিবারের লোকজন শারমিনকে গালমন্দ করে।
মো. শাজাহান হোসেন বলেন, ‘এর জেরে দুপুরে আবারো ঝগড়াঝাঁটির একপর্যায়ে আমার মেয়েকে বেদম মারধর করা হয়। পরে তাকে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক শারমিনকে মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু স্বামী সজীবুল মোল্যা জানায়, শারমিন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।’
শারমিনের বাবা আরো অভিযোগ করেন, ‘পুলিশকে না জানিয়ে কৌশলে আমার মেয়ের লাশ বাড়িতে এনে তড়িঘড়ি করে দাফনের চেষ্টা করে সজীবুল। লাশের গোসল করানোর সময় আমার চাচি হালিমা বেগম শারমিনের গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। পরে আমাদের সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দিই। এ সময় স্বামীসহ অন্যরা সটকে পড়ে।’
কাশিয়ানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইমানুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, লাশের গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে, এটি হত্যাকাণ্ড কি না। তার পরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।