গুলিবিদ্ধ সেই শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার

মাগুরায় যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ সেই নবজাতকের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ কথা বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। শিশুটিকে দেখতে তিনি আজ হাসপাতালে যান।
urgentPhoto
আহত শিশুর অবস্থার উন্নতি হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সমাজে এমন হিংস্রতা বেড়ে যাওয়া কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।’
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নবজাতক ও তার মা নাজমা খাতুনের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। এ সময় তিনি বিনা মূল্যে মা ও নবজাতকের চিকিৎসার ঘোষণা দেন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকদের সঠিকভাবে চিকিৎসা করার নির্দেশ দেন।
মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ ব্যাপারে মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘যেই হোক না কেন গ্রেপ্তারের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে তাঁদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’ এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীরও নির্দেশনা আছে বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। সবাইকে উপযুক্ত বিচারের আওতায় আনা হবে।’
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘চিকিৎসকদের সেবায় গুলিবিদ্ধ শিশুটি নিরাপদে রয়েছে। মায়ের গর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা বিরল। সফল অস্ত্রোপচারের পর শিশুটিকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো হচ্ছে।’ শিশুটি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে মায়ের কোলে ফিরে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়েরুজ্জামান লিটন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নুরুল হক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমানসহ নবজাতকের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
এর আগে সকালে গুলিবিদ্ধ নবজাতক ও তাঁর মা নাজমা বেগমকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। তিনি চিকিৎসকদের কাছে মা ও শিশুর শারীরিক অবস্থার খবর নেন।
গত ২৩ জুলাই মাগুরা শহরে যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তঃসত্ত্বা নাজমা বেগম গুলিবিদ্ধ হন। এতে গর্ভে থাকা শিশুর গায়েও গুলি লাগে। ঘটনায় নিহত হন নাজমার চাচা শ্বশুর মোমেন ভূঁইয়া।