বিচার বিভাগকে ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার করেছে সরকার : বিএনপি

বর্তমানে রাষ্ট্রের সকল অঙ্গই শাসন বিভাগের হাতে বন্দী বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। আজ সোমবার এক বিবৃতিতে দলটির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এক ব্যক্তির ইচ্ছার প্রতিফলন হচ্ছে বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ ও শাসন বিভাগে। ফলে রাষ্ট্রীয় নৈরাজ্যের চূড়ান্ত শিকারে পরিণত হয়েছে দেশ ও জাতি। মানুষের মৌলিক ও মানবাধিকারের শেষ চিহ্নটুকু বিলুপ্তপ্রায়।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আরো অভিযোগ করেন, ‘বিচার বিভাগকে বিরোধী দল ও ভিন্নমত দমনের হাতিয়ারে পরিণত করেছে সরকার। অবৈধ সরকার ন্যায্য গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে দমনের শেষ চেষ্টা হিসেবে আদালতকে ব্যবহার করে তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বকেই স্বীকার করে নিয়েছে।’
বিবৃতিতে ‘খালেদা জিয়ার খাবার ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে যে মাত্রাজ্ঞানহীন, ঘৃণ্য ও নিষ্ঠুর বাড়াবাড়ি আপনি প্রদর্শন করছেন তার পরিণাম কখনই শুভ হবে না’ বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, খুন, অপহরণ, জুলুম-নির্যাতন, হামলা-মামলা ও গণগ্রেফতারের দায়ভার হুকুমদাতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকেই নিতে হবে।’
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গণবিরোধী গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণয়ন করে ভয়-ভীতি প্রদর্শন, সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেল বন্ধ, সম্পাদক ও টিভি চ্যানেল মালিকদের গ্রেফতার ও হয়রানি করে, মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করে সরকার এখন কেবল টেলিভিশনে তার অস্তিত্ব প্রকাশ করে চলেছে।’
বিবৃতিতে মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার বিএনপি নেতা কাজী মশিয়ার রহমান এবং দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে রানীরবন্দর শাখার ছাত্রশিবিরের সভাপতি মতিয়ার রহমান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এহেন ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী আদালতে বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।’