বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি আত্মঘাতী, অর্থহীন : মওদুদ

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির যে শৃঙ্খলাবিধি সরকার তৈরি করেছে তা সম্পূর্ণ আত্মঘাতী, অর্থহীন এবং অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মওদুদ একথা বলেন।
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিচারকদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই বিধিমালা করেছে।
সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আরো বলেন, ‘নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধি সরকার তৈরি করেছে তা সম্পূর্ণ আত্মঘাতী, অর্থহীন এবং অসাংবিধানিক। এটা মাসদার হোসেন মামলায় বিচার বিভাগকে পৃথকীকরণ সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের যে নির্দেশ ছিল, তার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এই শৃঙ্খলাবিধির মাধ্যমে নিম্ন আদালতের বিচারকরা সম্পূর্ণভাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে গেল। সুতরাং এখন আর বলা যাবে না যে বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক একটি প্রতিষ্ঠান।’
গতকাল সোমবার রাতে ‘বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা ২০১৭-এর প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এ ব্যাপারে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধিমালার মধ্য দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের মর্যাদা খর্ব হয়নি, বর বেড়েছে।
এ ছাড়া প্রবীণ আইনজীবী ও সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম সমালোচনা করে বলেন, সংবিধান অনুযায়ী এ বিধিমালা করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমি অবাক হয়েছি, জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনকে সরকার আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে গেছে। যদিও এটা করা উচিত ছিল সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী। কিন্তু তা না করে ১৩৩ অনুযায়ী বিধি করা হয়েছে। যদি এই ১৩৩ বিধি প্রযোজ্য হয় প্রজাতন্ত্রের সরকারি কর্মচারীদের জন্য।’ তিনি বলেন, ‘সংবিধান যে ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত করেছে, সেই জায়গায় রাষ্ট্রপতির পরিবর্তে আইন মন্ত্রণালয় প্রতিস্থাপিত হতে পারে না। রাষ্ট্রপতির ভূমিকা আইন মন্ত্রণালয় পালন করতে পারে না।’