গর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধ : গ্রেপ্তার আরেকজন

মাগুরায় যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে মাতৃগর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধ ও একজন নিহতের ঘটনায় মামলার আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি লিটনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ নিয়ে ১৬ আসামির মধ্যে নয়জন গ্রেপ্তার হলো।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. ইমাউল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ সোমবার ভোররাতে শালিখা উপজেলার কাদিরপাড়া থেকে এজাহারের ১৩ নম্বর আসামি লিটনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাগুরা সদর উপজেলার আলমখালী বাসস্ট্যান্ডে ঢাকাগামী সুমন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে ফরিদ ও মিল্টন নামের আরো দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকা যাচ্ছিল বলেও জানান এই পুলিশ সদস্য।
এ ছাড়া গতকাল মাগুরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতে মামলার প্রধান আসামি জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সেন সুমনকে সাত দিন পুলিশের হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ২৩ জুলাই বিকেলে মাগুরা শহরের দোয়ারপাড়ে যুবলীগকর্মী কামরুল ভূঁইয়ার সঙ্গে যুবলীগকর্মী মহম্মদ আলী ও আজিবরের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় কামরুলের বড় ভাই বাচ্চু ভূঁইয়ার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নাজমা বেগম (৩০) ও চাচা মোমিন ভূঁইয়া গুলিবিদ্ধ হন।
ওই রাতেই মাগুরায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নাজমার গুলিবিদ্ধ শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়। পরদিন রাতে মাগুরা সদর হাসপাতালে মোমিন ভূঁইয়া মারা যান। দুদিন পর গুলিবিদ্ধ শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে নাজমাকেও ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। নাজমা ও তাঁর শিশু এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন আছে।
এ ঘটনায় মামলার পর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সেন সুমন, যুবলীগকর্মী সাগর হোসেন ও বাপ্পী বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়।