বিএনপির অভিযোগ সঠিক নয় : সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটারদের বাধা দেওয়ার ব্যাপারে বিএনপির অভিযোগ সঠিক নয়।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রংপুর সিটি নির্বাচনের পরিস্থিতি দেখার পর সিইসি সাংবাদিকদের এ সন্তুষ্টির কথা জানান।
সিইসি বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সন্তুষ্ট। এ নির্বাচনে ভোটাররা দিনভর উৎসবমুখর পরিবেশে ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘ভোটার এবং স্থানীয়দের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ নেই। এ ধরনের সুষ্ঠু ভোটগ্রহণে আমি সন্তুষ্ট।’
বিএনপির অভিযোগ সম্পর্কে নূরুল হুদা বলেন, ‘তাদের এই অভিযোগ সঠিক নয়। আমাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।’
ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, রংপুর সিটি নির্বাচনের একটি কেন্দ্রে বেশ সতর্কতার সঙ্গে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। কোনো বিচ্যুতির অভিযোগ নেই। এ নিয়ে ভোটাররাও বেশ খুশি হয়েছেন। ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। তবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার সম্ভব হবে না। আমরা প্রস্তুতি রেখে যাব, পরবর্তীতে জাতীয় নির্বাচনে তা বাস্তবায়ন হবে।
সকাল ৮টা থেকে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে।
বেলা ৩টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ নির্বাচনে ভোট চুরির অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘আজকে এ পর্যন্ত আমাদের জানামতে রংপুর সিটি নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি অত্যন্ত কম। নির্বাচনী তফশিল ঘোষণার পর থেকেই আপনাদের কাছে বলেছি, সরকার নানাভাবে সিটি করপোরেশনের ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ও ভীতির সৃষ্টি করছে। তারই প্রতিফলন ঘটল আজকের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটারদের টার্ন আউটের মধ্য দিয়ে। ভোটারদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ার কারণেই ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতির হার একেবারেই কম।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা পূর্বেই বলেছি, ভোট চুরি দুইভাবে হতে পারে- একটি হলো ভোট সন্ত্রাসের মাধ্যমে, অন্যটি ভোট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে। আজকে রংপুর সিটি নির্বাচনে দুই পদ্ধতিই প্রয়োগ করেছে ভোটারবিহীন সরকার।’