নারায়ণগঞ্জের ঘটনার তদন্ত চলছে : কাদের
নারায়ণগঞ্জ শহরে হকার ও সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সমর্থকদের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
এই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে বিএনপির রঙিন স্বপ্ন চুপসে যাবে। নির্বাচন নিয়ে বিএনপিকে আগে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার আহ্বান জানান কাদের।
নারায়ণগঞ্জের ঘটনায়, সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে ঘটনার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
সড়কপরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের ঘটনার তদন্ত চলছে। যারা এই জনসম্মুখে পার্টির ভাবমূর্তিকে এই ধরনের ভায়োলেন্সের মধ্য দিয়ে নষ্ট করেছে, যারাই দোষী হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নারায়ণগঞ্জ শহরে ফুটপাতে হকার বসানো ও উচ্ছেদ নিয়ে মেয়র আইভী ও এমপি শামীম ওসমানের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে মেয়র আইভী নারায়ণগঞ্জ নগর ভবন থেকে বের হয়ে নগরীর বঙ্গবন্ধু রোডের ফুটপাত দিকে হাঁটতে শুরু করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বেশ কিছু সমর্থক ছিলেন। পুলিশও তাঁদের সঙ্গে থাকে। একপর্যায়ে আইভীর সমর্থকরা ফুটপাতে হকারদের বসতে নিষেধ করলে প্রথমে হকাররা ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। তখন হকারদের সঙ্গে আইভীর সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। চাষাঢ়া এলাকায় শামীম ওসমানের সমর্থকরা হকারদের সঙ্গে যোগ দেয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে হকার ও শামীম ওসমান সমর্থকদের হামলার মুখে মেয়র আইভী বঙ্গবন্ধু সড়কে অনড় অবস্থান করেন। এ সময় তারা মেয়র আইভীর ওপর হামলা চালালে সমর্থকরা মানবদেয়াল তৈরি করে তাঁকে ঢেকে রাখেন। এ সময় তাদের ছোড়া ঢিলে মেয়র আইভী আহত হন।
পরে হকারদের সমর্থনে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান রাজপথে নেমে আসেন। তিনি হকারদের পক্ষ নিয়ে বঙ্গবন্ধু সড়কে অবস্থান করেন। এ সময় আহত আইভী নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে অবস্থান নেন। পুলিশ প্রায় ৩০০ ফাঁকা গুলি ও বেশ কিছু কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।