জাবিতে বিস্ফোরণে জড়িত সন্দেহে একজনকে মারধর

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আলবেরুনী (বর্ধিত) হলের পাশে ককটেল বিস্ফোরণে জড়িত সন্দেহে একজনকে মারধর করেছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা।
প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১তম ব্যাচের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী অজিত চন্দ্রকে সকালে শহীদ সালাম হলের অতিথিকক্ষ থেকে উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের ডা. আরিফ জানান, অজিতের শরীরে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল জানান, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, আলবেরুনী হলের মাঠে গতকাল মঙ্গলবার রাতে দেড়টার দিকে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় ছাত্রলীগের গণযোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক তারেক হাসান, উপ-সম্পাদক প্রিন্স, সহ-সম্পাদক সাজ্জাদ গিয়ে ছাত্রদলকর্মী অজিতকে দৌড়াতে দেখে আটক করেন।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের গণযোগাযোগবিষয়ক সম্পাদক তারেক হাসান বলেন, ‘অজিতই ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। পালানোর সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা তাঁকে আটক করে। সে ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক সোহেল রানার গ্রুপের।’
ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক সোহেল রানা বলেন, ইসলামনগরে ফেরার পথে অজিতকে কোনো কারণ ছাড়াই মারধর করেছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ নিজেরা বিশৃঙ্খলা করে ছাত্রদলের ওপর দায় চাপাচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইদ ভুঁইয়া বলেন, ছাত্রলীগ অপকর্ম করে নিরীহ ছাত্রদের মারধর করছে।