খালেদা জিয়ার রায়ের বিরুদ্ধে বগুড়ায় বিক্ষোভ

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়ার প্রতিবাদে বগুড়ায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে দলটির নেতাকর্মীরা।
আজ বৃজস্পতিবর বিকেলল ৩টার দিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
অপরদিকে, দুপুরে জেলা যুবদলের সভাপতি সিপার আল বখতিয়ারের নেতৃত্বে শহরের শেরপুর রোডের পিটিআই মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে যুবদল।
রায়কে কেন্দ্র করে সকাল থেকে শহরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া শহরের আলতাফ আলী সুপারমার্কেট, আল আমিন কমপ্লেক্স, সপ্তপদী মার্কেটসহ বিপণিবিতানগুলো বন্ধ রয়েছে। সড়ক ও মহাসড়কগুলোতে যান চলাচল সীমিত রয়েছে।
এর আগে দুপুর ২টার দিকে ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সলিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।
এ মামলায় মোট আসামি ছয়জন। তাঁদের মধ্যে তিনজন পলাতক। এই তিনজন হলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
রায়ে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বাকি আসামিদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রায় ঘোষণার পর পরই কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে পুরান ঢাকার পুরোনো কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন-আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।