ছাত্রকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন শিক্ষক

শ্রেণিকক্ষে বসে চিৎকার দেওয়ার অভিযোগে কাওছার হোসেন নামের অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছেন শিক্ষক। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গতকাল বুধবার দুপুর ১২টায় ঝালকাঠি সদর উপজেলার নথুল্লাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার স্কুলছাত্রের বাবা খাদেম আলী হাওলাদার ঝালকাঠি সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে।
আহত শিক্ষার্থী কাওছার হোসেন এনটিভি অনলাইনকে জানায়, বুধবার দুপুরে অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান ক্লাস চলছিল। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অমলেন্দ্রনাথ হালদার ক্লাস নিচ্ছিলেন। কার কার পড়া তৈরি হয়নি-জানতে চাইলে ক্লাসের দুই ছাত্রী হাত তোলে। এ সময় শিক্ষক অমলেন্দ্রনাথ তাদের বেত দিয়ে মারতে থাকেন। এ সময় দুই ছাত্রী চিৎকার করে। ছাত্রীদের চিৎকার শুনে পাশের ছেলেরা ব্যঙ্গ করে জোরে চিৎকার করে। এতে শিক্ষক ক্ষুব্ধ হন। তিনি জানতে চান, কে জোরে চিৎকার করল। এ সময় একটি ছাত্র কাওছারকে দেখিয়ে দেয়।
শিক্ষার্থীরা জানায়, এ সময় শিক্ষক বেত দিয়ে কাওছারের পিঠে অর্ধশত আঘাত করে। একপর্যায়ে কাওছার শিক্ষকের পায়ে ধরে ক্ষমা চায়। কিন্তু তার পরও থামেননি তিনি। একের পর এক আঘাতে কাওছার জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
গুরুতর অবস্থা দেখে অন্য শিক্ষার্থীরা কাওছারের বাবা খাদেম আলী হাওলাদারকে খবর দেয়। তিনি এসে ছেলেকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মানস কৃষ্ণ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, শিক্ষার্থীর পিঠে অসংখ্য বেতের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম জানিয়েছেন, খাদেম আলী হাওলাদার একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে লিপিবদ্ধ করে তদন্ত শুরু করেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেন জানান, শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করার ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই শিক্ষক আজ বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে আসেননি। তিনি একটি ছুটির আবেদন করে লোক মারফত পাঠিয়েছেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।