গৌরনদী পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার আলোচিত যুবলীগ নেতা পিন্টু হত্যা চেষ্টার অভিযোগে পৌর মেয়র হারিসুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করা হয়েছে।
পিন্টুর মা তাপসী রানী গুহ বাদী হয়ে আজ রোববার বরিশালের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম প্রথম আমলী আদালতে এই মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন গৌরনদী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক পৌর কাউন্সিলর জামাল হোসেন বাচ্চু, যুবলীগ নেতা আল-আমিন হাওলাদার, দেলোয়ার হাওলাদার, ছাত্রলীগকর্মী জিয়া হাওলাদার, শিমুল আকন, জুলহাস সরদার, রাসেল হাওলাদার, রিপন বেপারী, দুলাল গোমস্তা, রায়হান বেপারী, মামুন বেপারী, রাশেদ খান, কামাল খান, সুমন সরদার, আল-আমিন ওরফে কালা আলামিন এবং সুমন চক্রবর্তী। মামলায় নামধারী ১৭ জন ছাড়াও অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
আদালতের বিচারক তরুণ বাছাড় অভিযোগটি আমলে নিয়ে গৌরনদী থানার পুলিশকে এজাহার হিসেবে গণ্য করতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারী রেজাউল ইসলাম।
মামলা ও আহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ আগস্ট রোববার সন্ধ্যায় যুবলীগ নেতা পিন্টু বাটাজোর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া-মোনাজাত ও আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। শেষে সন্ধ্যার দিকে অপর দুই যুবলীগ নেতাকে নিয়ে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে চা পান করছিলেন। হঠাৎ হারিসের অনুসারী ১৫-২০ জন পিন্টুকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিন্টুর মাথায়, দুই হাতে, কোমরে ও পায়ে উপর্যুপরি আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। খবর পেয়ে গৌরনদী থানা পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন পিন্টুকে মুমূর্ষু অবস্থায় গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বরিশাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৯ আগস্ট পিন্টুকে ঢাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়।