‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ত্রুটিমুক্ত এবং সক্রিয় আছে'
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘রকেট ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উভয়ই স্বাভাবিক, ত্রুটিমুক্ত এবং সক্রিয় আছে। তাই স্পেসএক্স আজ আবার একই সময়ে উৎক্ষেপণের চেষ্টা চালাবে।’
নিজের ফেসবুক পেজে শুক্রবার ১১টা ২০ মিনিটে এ তথ্য দেন সজীব ওয়াজেদ জয়। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা কেপ ক্যানভেরাল উৎেক্ষপণ মঞ্চ থেকে স্যাটেলাইটটি যাত্রা শুরু করবে। সেখানেই আছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
বাংলাদেশ সময় গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা ৪৭ মিনিটের দিকে মহাকাশের দিকে যাত্রা শুরু করার কথা ছিল স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’-এর। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করা হয়।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ১২ মিনিট থেকে ৪টা ১২ মিনিটে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হবে বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্স।
এ নিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় ফেসবুকে লেখেন, ‘উৎক্ষেপণের কম্পিউটারটি যে ত্রুটি শনাক্ত করেছে তার সাথে রকেটের কোনো সম্পর্ক নেই। ক্ষুদ্র গোলযোগটি ছিল উৎক্ষেপণের স্থল ঘাঁটি সম্পর্কিত। রকেট ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উভয়ই স্বাভাবিক, ত্রুটিমুক্ত এবং সক্রিয় আছে। তাই স্পেসএক্স আজ আবার একই সময়ে উৎক্ষেপণের চেষ্টা চালাবে। সময় : ভোর রাত ২টা ১২ মিনিট থেকে ৪টা ১২ মিনিট বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী, বা যুক্তরাষ্ট্রের ইস্টার্ন সময় অনুযায়ী বিকাল ৪টা ১২ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টা ১২ মিনিট।’
গতকাল স্যাটেলাইটটির উৎক্ষেপণ স্থগিত হওয়ার পর সজীব ওয়াজেদ জয় ফেসবুকে ৪টা ১৬ মিনিটের দিকে জানান, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের বিষয়টি শেষ মুহূর্তে কম্পিউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। কম্পিউটার সব কিছু ঠিকঠাক না পেলে উৎক্ষেপণ স্থগিত করে দেয়। আজ মাত্র ৪২ সেকেন্ড আগে তা স্থগিত করা হয়।
সজীব ওয়াজেদ জয় জানান, স্পেসএক্স সবকিছু পরীক্ষা করবে এবং আগামীকাল একইসময়ে উৎক্ষেপণ করার চেষ্টা করবে। তিনি আরো জানান, রকেট উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে এটা খুবই স্বাভাবিক কারণ ঝুঁকি নেওয়া যায় না।
বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, সরকার ২০১৫ সালে ‘বঙ্গবন্ধু-১’ স্যাটেলাইট প্রকল্প গ্রহণ করে এবং এটি নির্মাণে একই বছরের নভেম্বরে ফ্রান্সের থ্যালাস অ্যালেনিয়া কোম্পানির সঙ্গে ২৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করে। স্যাটেলাইটের জন্য মোট ব্যয় দুই হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা, এরমধ্যে এইচএসবিসি ঋণ হিসেবে এক হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা সরবরাহ করছে।
যদিও বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট বিদেশ থেকে ক্রয় করা হয়েছে এবং এটি উৎক্ষেপণও বিদেশ থেকেই করা হবে তবে দেশ থেকেই এই স্যাটেলাইটটি নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
স্যাটেলাইটটি নিয়ন্ত্রণের জন্য ইতিমধ্যেই গাজীপুরের জয়দেবপুরে এবং রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় একটি করে নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।