ইউনাইটেড ছাড়াও ঢাকায় অনেক ভালো হাসপাতাল রয়েছে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের রাজনীতি না করার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও ইউনাইটেড হাসপাতাল নিয়ে বিএনপি রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে।
তোফায়েল আহমেদ বিএনপির উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বলেন, ইউনাইটেড হাসপাতাল ছাড়া ঢাকায় স্কয়ার, অ্যাপোলো, সিএমএইচসহ অনেক ভালো ভালো হাসপাতাল রয়েছে। তারা ওইগুলোতে খালেদা জিয়াকে না নিয়ে শুধু ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলছে কেন? এর মধ্যে অবশ্যই কোনো রাজনৈতিক দূরভিসন্ধি থাকতে পারে।
আজ সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তোফায়েল আহমেদ।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এবার আমি নিজ এলাকায় ঈদের আগে ও পরে বেশ কয়েকদিন ছিলাম। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এলাকায় আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দলের তৎপরতা একেবারেই চোখে পড়েনি। মানুষ এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো আছে। মজুদ পর্যাপ্ত থাকায় নিত্যপণ্যের দাম বাড়েনি এবার। ব্যবসায়ীরা আমাদের কথা দিয়েছিলেন, তারা এবার রমজানে জিনিসপত্রের দাম বাড়াবেন না। জনগণও এবার স্বস্তির সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেছে।
ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় কারাবন্দি আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা নিজ ইচ্ছেয় স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। মোহাম্মদ নাসিম দীর্ঘদিন ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। ওই সময় তাদের ব্যাপারে জেলকোডের বিধান বাধা না হলে এখন খালেদা জিয়ার ব্যাপারে বাধা হচ্ছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কারাবন্দি থাকা অবস্থায় শেখ হাসিনার স্কয়ারে চিকিৎসা আর এখন খালেদা জিয়া ইউনাইটেডে চিকিৎসার দাবি এক নয়। শেখ হাসিনা যে স্থানে বন্দি ছিলেন ওই স্থান থেকে স্কয়ার হাসপাতাল খুব কাছে ছিল। এ জন্যই ওই সময়ের সরকার শেখ হাসিনাকে স্কয়ার হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দিয়েছে। তারা যদি শেখ হাসিনাকে সিএমএইচে নিয়ে চিকিৎসা দিত তাহলে তিনি অবশ্যই সেখানেই যেতেন। দেশের মধ্যে সিএমএইচেই সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা হয়।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়া একজন সেনা পরিবারের সদস্য। তাঁর সিএমএইচে সিকিৎসা নিতে অসুবিধা থাকার কথা নয়। আমরা তো সেখানে ইচ্ছে করলেও নিজেদের চিকিৎসা করাতে পারি না। ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় আমাকে আমার মেয়ের জামাই একবার সেখানে নিয়ে গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যখন আমার পরিচয় জানল তখনই তারা আমাকে সেখানে চিকিৎসা করাতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে আমাকে চিকিৎসা না করিয়েই সেখান থেকে নিয়ে আসা হয়।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাপরিষদের সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনীতিবিদদের মধ্যে ওই সরকার একমাত্র আমাকেই বিদেশ যেতে দেয়নি। অন্য রাজনীতিবিদরা চিকিৎসার জন্য এবং অন্যান্য কাজেও ওই সময় বিদেশে গিয়েছেন। কিন্তু একমাত্র আমাকেই ওই সময় বিদেশে যেতে দেওয়া হয়নি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, নির্বাচনে না এসে ঠেকাতে গেলে বিএনপি আরো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। থাইল্যান্ডে ইংলাক সিনাওয়াত্রা নির্বাচন সম্পন্ন করতে না পারায় ওই দেশে সামরিক শাসন জারি হয়। ২০১৪ সালে আমাদের নেত্রী নির্বাচন সম্পন্ন করেছেন। এ নির্বাচন বিশ্বে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। কাজেই আগামী নির্বাচনও বিএনপির ঠেকানোর কোনো শক্তি নেই। কাজেই আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ ছাড়া বিএনপির অন্য কোনো পথ নেই।