তিন ছাত্রীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন শিক্ষক

পড়া না শেখায় তিন ছাত্রীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এ সময় বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা স্কুলে হামলা চালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ওই শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সকালে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম অষ্টম শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিষয়ের ক্লাস নিচ্ছিলেন। এ সময় তিনি পড়া না পারায় মমতাজ পারভীন, তানজিনা আক্তার ও শান্তা খাতুনকে বেদম মারধর করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তিন ছাত্রীকে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষিপ্ত অভিভাবক ও এলাকাবাসী স্কুলে হামলার চেষ্টা করে। তখন পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানান বীরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফখরুল হোসেন।
এসআই আরো জানান, এ ঘটনা তদন্তে স্কুলের পরিচালনা পর্ষদ ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ সিদ্ধান্তে তাৎক্ষণিকভাবে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ সময় প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি।
পড়া না শেখায় আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে তিন ছাত্রীকে পিটিয়ে আহত করেন প্রধান শিক্ষক। পরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ছবি : এনটিভি