শহিদুল আলম ফের ডিবি কার্যালয়ে
হাসপাতাল থেকে বিশিষ্ট আলোকচিত্র শিল্পী শহিদুল আলমকে আবারও পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশে আজ বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় শহিদুলকে। দুপুরের দিকেই তাঁকে আবার ডিবির কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বিএসএমএমইউর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘প্রাথমিক চিকিৎসাশেষে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো কোনো সমস্যা তাঁর শরীরে পাওয়া যায়নি।’
আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, আজ বুধবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে শহিদুল আলমকে চিকিৎসার জন্য আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাঁকে হাসপাতালের কেবিন ব্লকের ৫১৮ নম্বর রুমে নেওয়া হয়। তাঁর জন্য চার সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করেন চিকিৎসকরা। এই বোর্ডের প্রধান ছিলেন হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ডিন এ বি এম আবদুল্লাহ।
আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘চিকিৎসকরা শহিদুল আলমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো কোনো সমস্যা তাঁর শরীরে পাওয়া যায় নাই। তাই দুপুরের দিকে ডিবি পুলিশ তাঁকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যায়।’
গত রোববার রাতে শহিদুল আলমকে তাঁর ধানমণ্ডির বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি দল। পরে তাঁর স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ বলেন, ‘শহিদুলকে ধরে নিয়ে গেছে ডিবি পরিচয়ে একদল লোক।’
এরপরে ডিবির পক্ষ থেকে শহিদুল আলম তাঁদের হেফাজতে আছেন বলে জানানো হয়। সোমবার বিকেলে ডিবি পুলিশের (উত্তর) পরিদর্শক মেহেদী হাসান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে রমনা থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় শহিদুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই দিনই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আরমান আলী আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানান। পরে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আছাদুজ্জামান নূর শহিদুলকে সাতদিনের রিমান্ড দেন।
গতকাল হাইকোর্টে আবেদনের পর রিমান্ডের ওই আদেশ স্থগিত করে অবিলম্বে তাঁকে বিএসএমএমইউতে পাঠানোর নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।