ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঈদে ঘরমুখো মানুষ। গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় থেকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় আটকে আছে হাজারো যাত্রী।urgentPhoto

পুলিশ জানায়, আজ সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টি ও ঢাকার পথে আসা পশুবাহী ট্রাকের চাপ বেড়ে যাওয়ায় এ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। 

পঞ্চগড় থেকে গরুভর্তি ট্রাক নিয়ে ঢাকায় আসছেন চালক আবদুল করিম ভুঁইয়া। টাঙ্গাইল পর্যন্ত আসতে তেমন সমস্যা হয়নি বলে জানান তিনি। ওই চালক বলেন, ‘গতকাল (রোববার) রাত ১০টার দিকে টাঙ্গাইলে পৌঁছান। এর পর থেকে যানজটে পড়েন। দীর্ঘ সময় যানজটে থেকে গরুগুলোর অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে।’ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কথা বলার সময় আবদুল করিম চন্দ্রা পার হচ্ছিলেন। 

রাজশাহী থেকে ঢাকায় আসছেন বাসযাত্রী আসাদুল ইসলাম। তিনি জানান, টাঙ্গাইল থেকে চন্দ্রা আসতে পাঁচ ঘণ্টা লেগেছে। আজ ভোরে তাঁর ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল।

গাজীপুর থেকে ঢাকা আসা এক চাকরিজীবী নারী জানান, তিনি সকাল পৌনে ৬টায় জয়দেবপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। ঢাকায় পৌঁছাতে তাঁর সাড়ে তিন ঘণ্টা লেগে যায়। অন্য দিন তিনি দেড় ঘণ্টায় এ পথ অতিক্রম করেন।

হাইওয়ে পুলিশ বলছে, যানজট নিরসনে কাজ করছে পুলিশ। দুপুর নাগাদ স্বাভাবিক হতে পারে মহাসড়ক।

এদিকে, মহাসড়কের রাবনা বাইপাস থেকে গোড়াই পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি, মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে দুর্ঘটনা ও পশুবাহী ট্রাক বিকল হওয়ায় এ যানজট।

গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, রাত ৩টার দিকে মহাসড়কের মির্জাপুরের ইসাইল এলাকায় দুটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে দুজন সামান্য আহত হলেও ট্রাক দুটি রাস্তা থেকে সরাতে প্রায় চার ঘণ্টা লেগে যায়। এ ছাড়া সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বাসাইলের করতিপাড়া বাইপাস এলাকায় ঢাকাগামী একটি গরুভর্তি ট্রাক বিকল হয়ে যায়। এতেও রাস্তায় উভয় পাশে যানবাহন আটকে যায়। তবে যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান।