কুড়িগ্রামে হানিফ পরিবহনের কাউন্টারে ছাত্রলীগের তালা
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মো. হানিফকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির দাবিতে কুড়িগ্রামে হানিফ পরিবহনের কাউন্টার বন্ধ করে দিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ।
শহরের ঘোষপাড়ার হানিফ কাউন্টারের ব্যবস্থাপক নুরু মিয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দাবির মুখে আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে কাউন্টারে তালা লাগিয়ে দেয়।
সূত্র জানায়, গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূর আমিন ও জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ছাত্র ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ্বজিৎ রায় বিশু ছাত্রদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। তাঁরা হানিফ পরিবহনের বাসে না চড়তে যাত্রীদের অনুরোধ করেন। সেই সঙ্গে তাঁরা কাউন্টার বন্ধ করতে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন।
পরে তাঁরা জেলা মোটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বকসীর কাছে স্মারকলিপি দেন।
সোমবার হানিফ কাউন্টারে গিয়ে জানা যায়, তাদের সকাল ৯টার কোচটি নির্ধারিত সময়ে যাত্রীসহ যাত্রা করে। সেই সঙ্গে ভুরুঙ্গামারী থেকে ঢাকা যাওয়া কোচটিও সকাল সাড়ে ১০টায় কুড়িগ্রাম কাউন্টারের অবশিষ্ট যাত্রীদের নিয়ে যায়। এর পরই ছাত্রলীগের ছেলেরা কাউন্টার বন্ধ করতে আসে।
এ বিষয়ে জেলা মোটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বলেন, স্মারকলিপিতে বলা ২৪ ঘণ্টা শেষ হওয়ার আগেই ছাত্ররা কাউন্টার বন্ধ করে দিয়েছে। বিষয়টি খুব স্পর্শকাতর। এ নিয়ে সন্ধ্যায় মোটর মালিক সমিতি বৈঠকে বসবে।
কুড়িগ্রাম হানিফ পরিবহনের কাউন্টার ব্যবস্থাপক নুরু মিয়া বলেন, ‘হানিফ পরিবহনে হাজার হাজার মানুষ চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। মালিক দোষ করলে তার জন্য আইন আছে। আমরা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। আমাদের পেটে লাথি দিলে আমরা পথে গিয়ে বসব।’
এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রকিবুজ্জামান রাকিব বলেন, ‘মো. হানিফ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তিনি দেশে ফিরে আত্মসমর্পণ করলে কাউন্টার খুলে দেওয়া হবে।’