কিশোরগঞ্জে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন আওয়ামী লীগের এক নেত্রী। আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. একরামুল হক শামীম মামলাটি আমলে নিয়ে সশরীরে হাজির হওয়ার জন্য আসামির প্রতি সমন জারি করেছেন। আগামী ২৬ নভেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বিলকিছ বেগম আজ বৃহস্পতিবার সকালে আমল গ্রহণকারী ১ নম্বর বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ড. কামরুল আহসান শাহজাহান, নাসির উদ্দীন ফারুকীসহ জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বাদী বিলবিছ বেগম বলেন, ‘আসামি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন টেলিভিশন টক শোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলে মন্তব্য করায় সামাজিক ও মানসিকভাবে অপমানিত হয়েছি। তিনি পুরো নারী সমাজকে অপমান করেছেন। এ জন্য ক্ষুব্ধ হয়ে মামলা করেছি।’

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাগর ঘোষ বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন।

গত ১৬ অক্টোবর একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির প্রশ্নের জবাবে তাঁকে চরিত্রহীন বলে মন্তব্য করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে সাংবাদিক মাসুদ ভাট্টি ঢাকার আদালতে মানহানির মামলা করেন। এ ছাড়া ক্ষমতাসীন দলের মহিলা লীগ ও যুব মহিলা লীগের নেত্রীরাও চট্টগ্রাম, ভোলা, জামালপুর, ময়মনসিংহ, রংপুর, কুড়িগ্রাম, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে মামলা করেন। এর মধ্যে রংপুরের মামলায় গত ২২ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও ইংরেজি দৈনিক নিউ নেশনের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন তাঁকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সেদিন থেকে কারাগারে আছেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।