মিরপুরে ‘গণপিটুনিতে’ নিহতদের দুজন বাসের হেলপার

রাজধানীর মিরপুরের পশ্চিম কাজীপাড়ায় ‘গণপিটুনিতে নিহত তিনজনের মধ্যে দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের নাম মো. রবিন (১৭) ও সুমন রবি দাস (১৭)। দুজনই বাসচালকের সহকারী (হেলপার) হিসেবে কাজ করতেন। তাঁরা মিরপুরের কালশী এলাকায় থাকতেন। গত রোববার বিকেল ৫টার দিকে কাজের কথা বলে তারা একসঙ্গে বের হন। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
টেলিভিশনে খবর দেখে আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে এসে লাশ শনাক্ত করেন রবিনের নানি হালিমা বেগম। তাঁর কাছেই বড় হয়েছে রবিন। নাতির মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন হালিমা। তিনি বলেন, ‘রবিন কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিল না। তারপরও আমার শেষ সম্বলকে কেন প্রাণ হারাতে হলো?’
সুমন সুপার ও ইটিসি বাসের চালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। আজ সকালে তাঁর বাবা জনি রবি দাস ও মা জোৎস্না রবি দাস ঢাকা মেডিকেলে ছেলের লাশ শনাক্ত করেন। সুমন কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বলে দাবি করেছেন তাঁরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, নিহত তিনজনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বহু গুলির চিহ্ন রয়েছে।
পশ্চিম কাজীপাড়ায় গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বেশ কিছু পেট্রলবোমাসহ এই তিনজনকে ধরে স্থানীয়রা গণপিটুনি দেয় বলে দাবি করেন মিরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক। তিনি জানান, উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ পারভেজ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।