হিরো আলম কারাগারে

নারী নির্যাতনের মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে হিরো আলমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। স্ত্রীকে মারধর করার অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত হিরো আলমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয় গতকাল বুধবার। ওই মামলায় গতকাল রাতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে হিরো আলমকে আদালতে হাজির করা হয়। বগুড়া সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন হিরো আলমের শ্বশুর সাইফুল ইসলাম। আজ দুপুরে বগুড়ার মুখ্য বিচারিক হাকিম আহমেদ শাহরিয়ার তারিকের আদালতে তাঁকে হাজির করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রহিম। পরে আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, হিরো আলম অনেক দিন পরপর গ্রামে যান। গিয়ে কারণে-অকারণে তাঁর স্ত্রী সাবিহা আক্তার সুমির ওপর শারীরিক নির্যাতন করেন। সুমির পরিবারের অভিযোগ, হিরো আলম ঢাকায় কোনো একজন মডেলকে বিয়ে করেছেন। ঘটনার দিন রাতে হিরো আলম দীর্ঘ সময় মোবাইলে কোনো মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন, যাতে স্ত্রী সুমি বাধা দেন। এতে হিরো আলম ক্ষিপ্ত হয়ে সুমিকে মারধর করেন।
পরে সুমির স্বজনরা তাঁকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম বদিউদজ্জামান জানান, হিরো আলমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(ক) ধারায় মামলা নেওয়া হয়েছে।
ওসি বদিউজ্জামান বলেন, ‘গত ৫ মার্চ যৌতুকের জন্য তাঁর স্ত্রীকে মারধর করেন হিরো আলম। তাঁর স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ অভিযোগ দায়ের করেন গতকাল তাঁর শ্বশুর সাইফুল ইসলাম। পরে আমরা তদন্ত করে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাই। হিরো আলমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। গতকাল রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ কোর্টে পাঠানো হয়েছে।’