সেতুর টোল থেকে দৈনিক ২০ লাখ টাকা হরিলুট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মেঘনা-গোমতী সেতুর সাবেক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা হরিলুট করার অভিযোগ করলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অবিলম্বে এসব ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মেঘনা টোল প্লাজা ও মেঘনা সেতু পরিদর্শন করে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তবে তিনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নাম বলেননি। জনৈক মাহবুব নামের একজনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনেন সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যে, টোল নিয়ে হরিলুট চলছে। আমি কারো নাম উল্লেখ করতে চাই না। প্রতিদিন যেখানে ৫০ লাখ টাকা সর্বোচ্চ আদায় হতো, সেখানে এখন এ দুই সেতুতে গড়ে প্রতিদিন অতিরিক্ত ২০ লাখ টাকা আদায় হয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘এখন ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা আদায় হয়, বিশেষ করে শুক্র ও শনিবারে বাড়ে। ৮০-৮১ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রতিদিন রাজস্ব আদায় হচ্ছে। এটা কি লুট, হরিলুট? হরিলুট যারা করত, তাদের থেকে এ দুটি ব্রিজ উদ্ধার করা হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘যারা আগে এ টোলের দায়িত্বে ছিল, তাদের হরিলুটের চিত্র এখন দিন যতই যাচ্ছে ততই ফুটে উঠছে। এরা মেশিনগুলো নষ্ট করে চলে গেছে। এখন মেশিন ঠিক করতে হবে।’
মন্ত্রীর পরিদর্শনের সময় মেঘনা সেতুর ৬ নম্বর পিলারের গোড়ায় বালু ফেলার কাজ চলছিল। সেতুমন্ত্রী জানান, মেঘনা সেতুর পিলারের গোড়া থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে বালু ফেলা হচ্ছে।