নির্বাচনে সরকারি দলকে বিজয়ী করতে গণগ্রেপ্তার চলছে

খুলনায় যৌথবাহিনীর অভিযান চালিয়ে গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁদের মুক্তি দাবি করেছে দলটি। খুলনা মহানগর বিএনপি আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এই দাবি জানায়।
মহানগর বিএনপি সহপ্রচার সম্পাদক শামছুজ্জামান চঞ্চল স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনা মহানগর বিএনপির নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে সোমবার গভীর রাতে নগরীর পাঁচ থানায় বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে গণগ্রেপ্তার অভিযান ও ৯ জন বিএনপিকর্মী, যুবদল নেতা জাহিদুর রহমান রিপন, ডা. আব্দুস সালাম, যুবদল নেতা মিরাজুল ইসলাম হিরা, বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম রিয়াজ, মো. রিয়াজ শিকদার, আজাদ মেম্বার, মোশাররফ হোসেন, ইউসুফ খান ও রাকিবুল ইসলাম মিঠুকে গ্রেপ্তার করায় তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, একদিকে আন্দোলন চলাকালে ৬৪ মামলায় শতাধিক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে হাজারো নেতা-কর্মী উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার পরও কোনো কারণ ছাড়াই তাঁদের বাড়িতে বাড়িতে সরকার গঠিত যৌথবাহিনীর অভিযান এক ভয়ার্ত ও আতঙ্কজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
বিবৃতিতে খুলনা মহানগর বিএনপি নেতারা বলেন, বাংলাদেশের সমকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থির ক্রমাবনতিতে সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে বিরোধী দলকে দায়ী করে সরকারের বক্তব্য, বিবৃতির পাশাপাশি যৌথবাহিনী দিয়ে খুলনাসহ দেশব্যাপী হাজার হাজার বিএনপিকর্মী গ্রেপ্তার সরকারের নতুন দমননীতি। একদিকে সরকারের গণতন্ত্র হননের দানবীয় চেহারা নতুনভাবে উন্মোচিত হয়েছে। দেশব্যাপী স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া ঘোষণায় দেশব্যাপী যখন নির্বাচনী হাওয়া বইছে তখন সরকারের বিএনপি দমনে যৌথ অভিযান নির্বাচনী মাঠ বিরোধীদল শূন্য করে এককভাবে সরকারি দলকে বিজয়ী করার নীল নকশা বাস্তবায়ন বলে খুলনা বিএনপি মনে করে।
বিএনপি নেতারা সরকারের এই কর্মকাণ্ড অবিলম্বে বন্ধ করে বিএনপিকে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বাধা না দেওয়ার অনুরোধ করেন। সেই সঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান বন্ধ করাসহ মিথ্যা মামলায় জামিনপ্রাপ্তদের পুনরায় গ্রেপ্তার ও হয়রানি না করার আহ্বান জানান। তাঁরা আটক নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম দাদুভাই, খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র ও নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্তজা, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, সৈয়দা নার্গিস আলী, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মুশাররফ হোসেন, জাফরুল্লাহ খান সাচ্চু, আবদুল জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম মেঝভাই, ফখরুল আলম, অ্যাডভোকেট ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, আরিফুজ্জামান অপু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, সিরাজুল হক নান্নু, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু প্রমুখ।