কারাগারে পাঠানো হলো নূর হোসেনকে
আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল ইসলাম। আজ শুক্রবার দুপুরে শুনানি শেষে তাঁকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
নূর হোসেন সাত হত্যার দুটি মামলাসহ মোট ১১টি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে পশুপাখি সংরক্ষণ আইনের একটি মামলায় এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল নূর হোসেনকে।
এদিকে নূর হোসেনকে আদালতে পাঠানোর পর বিক্ষুব্ধ জনতা তাঁর ফাঁসি চেয়ে স্লোগান দিতে থাকে ও জুতা প্রদর্শন করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ নূর হোসেনকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মেজর লিয়াকত হোসেন নূর হোসেনকে গ্রহণ করেন। ওই সময় বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের বিপুলসংখ্যক সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে ফেরত আনার পর নূর হোসেনকে আজ ভোরে উত্তরায় র্যাব-১-এর কার্যালয়ে আনা হয়। সেখান থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে র্যাব ১-এর কালো মাইক্রোবাসে করে নূর হোসেনকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার গাবতলী এলাকার পুলিশ লাইনসে নেওয়া হয়।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকার, সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাতজন। ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে ছয়জন এবং পরের দিন আরো একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা ডা. বিজয় কুমার অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে এবং নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি সিদ্ধিরগঞ্জ আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে ফতুল্লা থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন।
ওই মামলায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক তিন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, কমান্ডার এম এম রানা, মেজর আরিফসহ ১৮ র্যাব সদস্য এবং নূর হোসেনের সাত সহযোগী এখন কারাগারে আছেন। পলাতক আছেন আরো নয় আসামি।