চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক যুবলীগকর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। এ সময় আহত হন আরো এক আওয়ামী লীগকর্মী।  আজ সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম আজিজুল ইসলাম। তিনি ডিঙ্গেদহ বাজার এলাকারই বাসিন্দা। এ ঘটনায় আহত বুদো মণ্ডলকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুদো মণ্ডল এনটিভি অনলাইনকে জানান, সন্ধ্যায় ছেলে নুরনবীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি  ডিঙ্গেদহ বাজারে রশিদের চায়ের দোকানে বসেছিলেন। এ সময় কয়েকজন যুবক কোনো কথা ছাড়াই হঠাৎ তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়।

এ সময় আজিজুল পাশের একটি সেলুনে বসেছিলেন। দুর্বৃত্তরা সেখানে গিয়ে তাঁকে গুলি করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। পরে তারা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চলে যায় বলে জানান বুদো মণ্ডল।

প্রত্যক্ষদর্শী সেলিম হোসেন জানান, একদল যুবক একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকার ও লাল রঙের পালসার মোটরসাইকেল নিয়ে ডিঙ্গেদহে আসে। তারা প্রথমে বুদো মণ্ডলকে এবং পরে আজিজুলের ওপর হামলা চালায়।

নিহত আজিজুল ইসলামের ভাগ্নে  মিলন হোসেন জানান, দুর্বৃত্তরা তিনটি গুলি ছোড়ে এবং তিনটি বোমা হামলা চালায়। এতে আজিজুলের  বামপাশের পেট ফুঁড়ে নাড়িভূঁড়ি বেরিয়ে যায় এবং ডান পা ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, বোমা ও গুলির অভিযোগ শোনা গেলেও তা সঠিক নয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতেই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।