১০ মাসে দেড় লাখ জনবল নেবে কাতার

চলতি বছরের মধ্যেই অন্তত দেড় লাখ বাংলাদেশি শ্রমিকের কাতারে কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে বলে আশা করছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এরই মধ্যে দেশটি ৫০ হাজার লোকের ভিসার অনুমোদন দিয়েছে বলেও জানান তিনি। আজ সোমবার রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
লোক নেওয়ার এই পুরো খরচ এমপ্লয়ার (চাকরিদাতা) বহন করবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটা কাতার সরকারের আইন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন কাতার আমাদের একটা পপুলার ডেস্টিনেশন (জনপ্রিয় গন্তব্য)। ওখানে তারা (কাতার) লোক আগাগোড়াই নিচ্ছিল। গতবারও তারা ভালো সংখ্যক লোক নিয়েছে। তারপরও কিন্তু ওখানে আমরা খুব অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে লোক পাঠাইতে পারতেছিলাম তা না। ওইখানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নেপাল থেকে বেশি লোক যাচ্ছিল। ইন্ডিয়া, নেপাল, ফিলিপাইন থেকে আমাদের চেয়ে বেশি সংখ্যক লোক যাচ্ছিল।
আমরা আমাদের প্রস্তুতি তাদের কাছে সম্পূর্ণভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। তারা একটা টিমও এর আগে পাঠিয়ে ছিল। অ্যাম্বাসেডরের সাথেও আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। আমাদের প্রস্তুতিটা তাদের কাছে খুবই উৎসাহব্যঞ্জক মনে হইছে। মন্ত্রী মহোদয় (কাতারের মন্ত্রী) সাথে সাথে আমাকে বললেন, আমরা কিন্তু অলরেডি এই দুই মাসে ৫০ হাজার ভিসা বাংলাদেশিদের জন্য দিয়ে দিছি।’
মোশাররফ হোসেন বলেন, 'আমরা এক্সপেক্ট (আশা) করতেছি আরো ১০ মাসে এক-দেড় লাখ লোক আমরা পাঠাতে সক্ষম হব। সক্ষম হব এই কারণে তাদের আসলে ইকোনোমিক অ্যাক্টিভিটিজ (অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড) খুবই ইনটেন্স (তীব্র)। ২০২২ সালে তারা যে ওয়ার্ল্ডকাপে হোস্ট (আয়োজক) করবে, এইটারে সামনে রেখে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি তারা গ্রহণ করছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি তাদের সাথে খুব জোরেশোরে আলোচনা করছি যে তিন-চার লাখ টাকা ব্যয় কইরা বাংলাদেশ থেকে আর একজন লোকও কাতারে আসবে না। এই ব্যয় কমাতে হইলে আপনাদের সহযোগিতা একান্ত দরকার। মন্ত্রী মহোদয় এগ্রি (রাজি) করলেন ইন্টারমিডিয়েরি (মধ্যসত্ত্বভোগী বা দালাল) থাকলেই খরচ বেড়ে যায়। আমি উনারে এক্সপ্লেইন (ব্যাখ্যা) করলাম যে বাংলাদেশে সিলেকশন লেভেলে (বাছাই পর্বে) আমরা ইন্টারমিডিয়েরি এলিমিনেট (বাদ দেওয়া) করেছি। কারণ আইন করেই আমরা বলছি যে, ডেটাবেস ছাড়া কোনো লোক আমরা নিব না। ডেটাবেজে গেলেই কিন্তু আর ইন্টারমিডিয়েরি থাকে না।’